কৌশিক গাঁতাইত, বরাকর: পশ্চিম বর্ধমানের বরাকরে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে মারধরের কারণে আরও এক যুবক আহত অবস্থায় ভর্তি কুলটির এক বেসরকারি হাসপাতালে।  ইতিমধ্যেই পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে আরমান আনসারি নামে এক যুবকের। আরও এক যুবক শ্যামল বাউড়ি ভর্তি আসানসোল জেলা হাসপাতালে। 


আরমান আনসারি, শ্যামল বাউড়ি সহ চারজনকে চুরির অভিযোগে আটক করে পুলিশ। আরমানের পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে ছেলেক পিটিয়ে খুনের অভিযোগ করেছেন। গতকাল পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে কুলটির বরাকর। ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতে।  ঘটনায় সাসপেন্ড করা হয়েছে বরাকর ফাঁড়ির আইসি অমরনাথ দাসএবং কুলটি থানার সাব ইনস্পেক্টর প্রশান্ত পালকে।


জানা গিয়েছে, আরেক আটক শ্যামল বাউরির অবস্থা সংকটজনক। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই নতুন করে উত্তেজনা বরাকরে। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়। ফের বন্ধ হয়ে গিয়েছে বাজার। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশবাহিনী, কমব্যাট ফোর্স ও র‌্যাফ।


পুলিশ হেফাজতে এক তরুণের মৃত্যুর অভিযোগে, মঙ্গলবার  অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পশ্চিম বর্ধমানের বরাকর। ভাঙচুর চালানো হল পুলিশ ফাঁড়িতে।জ্বালিয়ে দেওয়াহল পুলিশের গাড়ি।উর্দিধারীদের দিকে মুড়ি মুড়কি মতো উড়ে এল ইট।পাল্টা ফাটানো হল কাঁদানে গ্যাসের শেল।


চুরির অভিযোগে সোমবার রাতে ২১ বছরের আরমান আনসারিকে বাড়ি থেকে তুলে আনে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে কুলটি থানায় গিয়ে তরুণের বাবা জানতে পারেন, তাঁর ছেলে মারা গেছেন। মৃতের বাবার দাবি,আমার ছেলে পাশের বাড়িতে শুয়েছিল। ওই সময় পুলিশ ও চার-পাঁচজনকে এসে দরজায় নক করে। দরজা খুলতেই ওকে নিয়ে যায়। সকালে বরাকর ফাঁড়িতে গেলে জিজ্ঞাসা করায় ওরা কোনও উত্তর দেয়নি। এর মধ্যে কুলটি থানা থেকে একজন আসে আমাকে বাইকে চাপিয়ে কুলটি থানায় নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে জানতে পারি ছেলে মারা গিয়েছে।  আমার ছেলে কোনও অসামাজিক কাজে থাকে না। পুলিশ সূত্রে খবর, আটকের পর গভীর রাতে আরমান আনসারিকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।