হুগলি: বকেয়া ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সিঙ্গুরে শুরু হল আবেদনপত্র সংগ্রহের কাজ। পাশাপাশি, জোরকদমে চলছে সমীক্ষা ও সাফাই অভিযান। আজ এলাকা পরিদর্শনে যান পঞ্চায়েতমন্ত্রী।


মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের সময়সীমার মধ্যেই জমি ফেরত দেবে সরকার। তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই সিঙ্গুরে এখন জোর তৎপরতা। সাফাইয়ের পাশাপাশি চলছে জমি জরিপ। শুরু হয়েছে প্লটিং-এর প্রাথমিক কাজও।

বেড়াবেড়ি পূর্ব পাড়ায় এদিন শুরু হয়েছে, জমি ফেরত এবং ক্ষতিপূরণের আবেদন পত্র গ্রহণের কাজ। অনিচ্ছুক কৃষকদের আবেদনে উল্লিখিত অধিগৃহীত জমির পরিমাণ, সরকারি নথির সঙ্গে মিলিয়ে দেখবেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কর্মীরা।

শুক্র ও শনিবার গোপালনগর মৌজায় সমীক্ষা ও সাফাইয়ে কাজ শেষ করেছে প্রশাসন। রবিবার কাজ শুরু হয়েছে, বেড়াবেড়ি মৌজায়।

গোটা এলাকায় নজরদারির জন্য গেটের কাছে তৈরি হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। স্যাটেলাইট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে জমির চরিত্র বুঝে নেওয়ার কাজ চলছে। ‘ডিরেক্টর অফ ল্যান্ড রেকর্ড অ্যান্ড সার্ভে’ দফতরের জমি সমীক্ষকরা নিয়ে এসেছেন জিপিএস সেট লাগানো সরঞ্জাম। দ্রুত গতিতে সাফাই অভিযান চালাচ্ছে হার্ভেস্টার এবং গ্রাস কাটার।

পাশাপাশি সিঙ্গুরের জমির আগাছা মারতে কীটনাশক ছড়াচ্ছেন কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। প্রস্তাবিত ন্যানো কারখানার জন্য ভিতরে একটি পাওয়ার স্টেশন তৈরি করা হয়েছিল। সেখান থেকে ট্রান্সফর্মার ও অন্য যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের কাজও শুরু করেছেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। আনা হয়েছে ক্রেন ও ট্রেলার।

পালা করে প্রতিদিনই সিঙ্গুরের কাজের অগ্রগতি দেখতে যাচ্ছেন মন্ত্রীরা। রবিবার যান সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

টাটাদের পরিকল্পনা ছিল, ভিতরের কয়েকশো একর জমিতে একটি বাগান তৈরি করা হবে। তাই প্রশাসনিক কর্তাদের অনুমান, ওই জমি এখনও চাষযোগ্য রয়েছে।
এদিন ওই অংশের জমি পরিদর্শন করেন জেলাশাসক এবং সভাপতিপতি।