দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রবীন্দ্রনগর, বারুইপুর, মহেশতলার পর এবার ক্যানিং।২ দিনের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ফের মিলল অস্ত্র কারখানার হদিশ।


গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে ক্যানিং থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে শামসুদ্দিন সরদার নামে এক কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে। পুলিশের দাবি, ধৃতের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুপুরে ক্যানিং-এরই আমতলা গ্রামের আবু সিদ্দিকি লস্করের বাড়িতে হানা দেয় তারা। উদ্ধার হয় ৫টি ওয়ান শটার, ৬টি ওয়ান শটার তৈরির সরঞ্জাম, লেদ ও ড্রিল মেশিন এবং ২০ হাজার টাকার জাল নোট।

বাড়িতে অস্ত্র কারখানা চালানোর অভিযোগে আবু সিদ্দিকি লস্করকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা জানতে জেরা করা হচ্ছে ধৃতকে।

মাত্র ২ দিন আগে , গত ২ অক্টোবর অস্ত্র কারখানার হদিশ মেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রবীন্দ্রনগরে।

নিউ পাঁচুর মোল্লাপাড়ায় একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৫০টি নাইন এমএম ও সেভেন এমএম পিস্তল। পাওয়া যায় ৫টি লেদ মেশিনও। পুলিশ সূত্রে খবর, বিহারের বাসিন্দা ৫-৬ জন এই বাড়ি ভাড়া নিয়ে অস্ত্র কারখানা চালাত। তারা পালিয়ে গেলেও, বাড়ির মালিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তার আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে বারুইপুরের বেগমপুরে বাপি হালদারের বাড়িতে যৌথভাবে হানা দেয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ ও বারুইপুর থানা।  পুলিশের দাবি, উদ্ধার হয় ৩৬ রাউন্ড গুলি, গুলি তৈরির প্রচুর সরঞ্জাম, একটি আগ্নেয়াস্ত্র। গ্রেফতার করা হয়  সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী বাপিকে।

৭ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগনারই মহেশতলাতেও হদিশ মেলে বিশাল অস্ত্র কারখানার। উদ্ধার ওয়ান শটার, নাইন এমএম পিস্তল-সহ ১০১টি অস্ত্র, ৯ কেজি বিস্ফোরক। গ্রেফতার করা হয় অস্ত্র কারখানার মালিক সহ ৫ জনকে।

এই তালিকায় এবার যুক্ত হল ক্যানিং।

এক মাসের মধ্যে জেলার চারটি জায়গায় অস্ত্র কারখানার হদিশ মেলায় কপালে চিন্তার ভাঁজ জেলা পুলিশের।