অভিযোগ করেন, জোট প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট হওয়ার বদলা নিতে তৃণমূল তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে হরিণঘাটা থানা ঘেরাও করেন বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা। ওই সময় অন্য কাজে থানায় গেলে, তৃণমূল নেতা চঞ্চল দেবনাথকে নাকি নিগ্রহ করেন আন্দোলনকারীরা। তৃণমূল থানায় এফআইআর করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে আন্দোলনকারীদের হঠিয়ে দেয়। এরপর তৃণমূলী তাণ্ডব ফের শুরু হয় বলে অভিযোগ। সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক ননী মালাকারের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি প্রাক্তন মন্ত্রী বঙ্কিম ঘোষ সহ কয়েকজন সিপিএম নেতাকর্মীকে মারধর করা হয়। যদিও তৃণমূল যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে ।
পাশাপাশি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়েও কংগ্রেসকর্মীদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হামলার ঘটনায় ধৃত ৩ তৃণমূলকর্মী। আসল দোষীদের ছেড়ে নিরপরাধদের ধরা হচ্ছে, অভিযোগ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের তৃণমূল সহ-সভাধিপতি শৈবাল লাহিড়ির। ক্যানিংয়ের খাস কুমড়োখালিতে কংগ্রেস প্রার্থী অর্ণব রায়ের নির্বাচনী সভা উপলক্ষে গতকাল এলাকায় দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিলেন কংগ্রেসকর্মীরা। অভিযোগ, সেসময় তাঁদের হুমকি দেয় কয়েকজন তৃণমূলকর্মী। বচসা বাধলে, তৃণমূলের লোকজন কংগ্রেসকর্মীদের বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। জখম হন ৫ কংগ্রেসকর্মী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
সুজিত মণ্ডল, এবিপি আনন্দ