কালনা: লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার জর্জ বেকার। বিস্তারক কর্মসূচিতে গিয়ে ফের আক্রান্ত বিজেপি সাংসদ। গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমানের কালনা।


বিজেপির দাবি, শনিবার কালনায় বিস্তারক কর্মসূচিতে অংশ নেন জর্জ বেকার। অভিযোগ, তৃণমূলের পার্টি অফিসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের ওপর হামলা হয়। তৃণমূল কাউন্সিলর সমরজিৎ হালদারের নেতৃত্বে প্রথমে জর্জ বেকারের গাড়ির কাচ ভাঙা হয়। পরে তাঁকে উইকেট দিয়ে মারা হয় বলেও অভিযোগ। জর্জ বেকার বলেছেন, ‘আমি গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলাম। ভাঙচুর করল। কেন জিজ্ঞাসা করলাম, তখন মারল।’

যদিও, বিজেপির বিরুদ্ধেই পাল্টা অভিযোগ তুলেছে শাসকদল। সমরজিতের দাবি, তৃণমূলের পার্টি অফিসে সামনে ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও বলে স্লোগান দিচ্ছিল। আমরা প্রতিবাদ করলে এসে মারধর শুরু করে। বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে মত্ত থাকারও অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। অভিযোগ উঠেছে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরও। কালনার পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ দাসের দাবি, জর্জ বেকার নিজে মত্ত অবস্থায় ছিলেন। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আহত হন।

এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। পূর্ব বর্ধমানের বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত পাণ্ডের দাবি, জর্জ বেকার মদ্যপান করেননি। এটা ডাক্তাররা আরও ভাল করে বলতে পারবেন। শাসক দলের দাবি, এলাকায় পূর্ব বর্ধমান জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় নেতা কৌশিক দাশগুপ্তর গোষ্ঠীর লড়াইয়ের ফলেই এই ঘটনা। কিন্তু এই অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি।

শনিবারের ঘটনায় জর্জ বেকারের হাতে, পিঠে আঘাত লাগে। তাঁকে প্রথমে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কালনা থানায় গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

দিন কয়েক আগে বীরভূমে বিস্তারকের কাজ করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন লকেট। এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানে।