স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠিতে অসম্মতি জানিয়ে পাল্টা চিঠি রাজ্যের। কেন্দ্রকে চিঠিতে রাজ্য বলেছে, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আইপিএসদের অ্যাটাচ করতে পারে না।আইজি দক্ষিণবঙ্গ রাজীব মিশ্র,ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ প্রবীণ ত্রিপাঠী ও ডায়মন্ড হারবারের এসপি ভোলানাথ পাণ্ডে-এই ৩ আইপিএস ছিলেন নাড্ডার কনভয়ের নিরাপত্তায়।
উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্য সচিব ও ডিজি-কে তলব নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন রাজ্য থেকে ৩ আইপিএস-কে তোলা হচ্ছে, চিঠিতে প্রতিবাদ লোকসভায় তৃণমূলের চিফ হুইপের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লাকে লেখা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠিতে উল্লেখ, সংবিধান অনুযায়ী আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। এর প্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্য সচিব ও ডিজি-কে কীভাবে তলব করতে পারেন? সংবিধানে কী এর কোনও সংস্থান রয়েছে? মনে হচ্ছে এর পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে। বিজেপির এক রাজনৈতিক নেতার জন্য আপনারা রাজ্যকে এই চিঠি দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবকে লেখা কল্যাণের চিঠিতে উল্লেখ। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মদতে মানা হচ্ছে না কোনও আইন।
এই চিঠির প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায় কিছু নেই।
নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় কড়া ভূমিকা নিয়েছে কেন্দ্র। কার্যত নজিরবিহীন ভাবে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয় মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে।
১৪ ডিসেম্বর সকাল ১১টায়, মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি-কে তলব করে অমিত শাহর অধীনস্থ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।শুক্রবার সকালে বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ প্রথম ট্যুইট করে জানান ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার কনভয়ে হামলা, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপিকে আগামী ১৪ ডিসেম্বর দিল্লিতে তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানা উচিত যে, ওঁর জঙ্গলরাজে লাগাম টানার জন্য দেশে সংবিধান এবং অসংখ্য আইন রয়েছে’।
প্রশাসন সূত্রে খবর, কনভয়ে হামলার ঘটনায় রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তারপর রিপোর্ট পাঠান জগদীপ ধনকড়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই মুখ্যসচিব ও ডিজিপি-কে দিল্লিতে নজিরবিহীন তলব করা হয়। যদিও, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে পাল্টা চিঠি দিয়ে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন,
রাজ্য সরকার গোটা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। তাই আমাদের উপস্থিতি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
তৃণমূলের অবশ্য দাবি, তলবের অধিকার দিল্লির নেই। আর তলব করে লাভও হবে না।পাল্টা বিজেপির দাবি, রাজ্যপাল সঠিক কাজই করেছেন।