দাসের বাঁধ কঙ্কালকাণ্ডের শুনানিতে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর আদালতে হাজিরা দিতে যান সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ। আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার তাঁকে ঘুষি মারার চেষ্টা করেন নিহত স্বপন সিংহ ওরফে রাজুর বাবা মনোজ সিংহ। তিনি বলতে থাকেন, আমার ছেলে খুন করে। আমি ওঁকে ছাড়ব। আরও মারব।
যদিও ঘটনার জন্য শাসক দলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন সুশান্ত ঘোষ। তাঁর দাবি, এ সব তৃণমূলের চক্রান্ত। অভিযোগ অস্বীকার করে গড়বেতার তৃণমূল বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ঘটনায় তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। এই ঘটনা সাধারণ মানুষের ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ।
২০০২ সালে কেশপুরে ৭ তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে তৎকালীন শাসক দল সিপিএমের বিরুদ্ধে। তৃণমূল অভিযোগ করে, ঘটনার নেপথ্যে সুশান্ত ঘোষ। ঘটনার ৯ বছর পর ২০১১ সালে কেশপুরের দাসেরবাঁধে ৭টি কঙ্কাল উদ্ধার হয়। নিখোঁজ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের পরিবার দাবি করে, কঙ্কালগুলি তাঁদেরই পরিজনের। দাবি ওঠে ডিএনএ পরীক্ষার। পরীক্ষায় জানা যায়, একটি কঙ্কাল অজয় আচার্য ও একটি কঙ্কাল স্বপন সিংহর।
এদিন কঙ্কালকাণ্ডে অভিযুক্ত ৫৮ জনকে তোলা হয় মেদিনীপুর আদালতে। আদালত চত্বরে নিহত স্বপন সিংহের বাবা হামলা চালান সুশান্ত ঘোষের ওপর।
এর আগে ২০১২ সালে কঙ্কালকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর আদালত চত্বরে সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়া হয়।