আসানসোল: গোষ্ঠীসংঘর্ষে অশান্ত আসানসোলে যাওয়ার পথে বাবুল সুপ্রিয় ও লকেট চট্টোপাধ্যায়কে বাধা পুলিশের। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ ও পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির অভিযোগে বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে মামলা রুজু। রানিগঞ্জ-আসানসোলের পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর।



বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোলের চাঁদমারিতে যাওয়ার সময় বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে বাধা দেয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জোর করে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি সাংসদের তুমুল তর্কাতর্কি বেধে যায়। আঙুল তুলে পুলিশকে কার্যত শাসাতেও দেখা যায় বাবুল সুপ্রিয়কে। এরপর উর্দিধারীদের সঙ্গে বাবুলের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। দীর্ঘক্ষণ উত্তপ্ত তরজার পর অবশেষে চাঁদমারি না গিয়েই এলাকা ছাড়েন বাবুল।
এই ঘটনায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ ও পুলিশকর্মীকে হেনস্থার অভিযোগে বাবুলের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে পুলিশ। পাল্টা হেনস্থার অভিযোগে থানায় অভিযোগ করেন আসানসোলের সাংসদ। এনিয়ে সুর চড়িয়েছে তৃণমূলও। বাবুলের মতো এদিন দুর্গাপুর থেকে আসানসোল যেতে চেয়ে পুলিশের সঙ্গে তরজায় জড়ান রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়।



রাস্তার ধারেই অবস্থানে বসে পড়েন লকেট চট্টোপাধ্যায়। কিছুক্ষণ পর সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে গাড়িতে করে বার করে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি যাতে আসানসোলের দিকে না যান, সেজন্য কাঁকসা পর্যন্ত লকেটের গাড়ির সঙ্গে যায় পুলিশের গাড়ি।
লকেটের আসানসোল যাওয়ার চেষ্টা নিয়ে পাল্টা সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। এসবের মধ্যে এদিন দিল্লি থেকে ফিরে রানিগঞ্জ-আসানসোলের পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং এডিজি আইনশৃঙ্খলা। সূত্রের খবর, বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল--
আসানসোল-রানিগঞ্জে কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হল? এত অস্ত্র কোথা থেকে এল? বহিরাগতরা সেখানে আছে কি? সেই খবর গোয়েন্দাদের কাছে ছিল কি? পরশু হনুমান জয়ন্তী। সেদিন যাতে এমন কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।