নয়াদিল্লি ও কলকাতা: নয়াদিল্লি ও কলকাতা: বাবুল সুপ্রিয়কে আইনি নোটিস পাঠালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।


দুর্নীতির অভিযোগে অভিষেককে আক্রমণ করেন বাবুল। সেখানে ভাইপো বলে অভিষেককে আক্রমণ করেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। জবাবে পাল্টা আইনি নোটিস পাঠালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।


এর আগেও বাবুলের মন্তব্য নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। আদালত অবমাননার অভিযোগে এবার বাবুলকে আইনি নোটিস পাঠালেন অভিষেক। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা না চাইলে মামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।


প্রসঙ্গত, এর আগে, গত সেপ্টেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর নামে ট্যুইটারে মিথ্যে ও ভুল তথ্য পেশ করার অভিযোগে বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইট প্রত্যাহার করে বিজেপি সাংসদকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করা হয়েছিল ওই আইনি নোটিসে।


নিজের আইনজীবী মারফৎ যে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন অভিষেক, তাতে বলা হয়েছিল-- আমার মক্কেল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে জড়িয়ে ভুল ও মিথ্যে মন্তব্য মন্তব্য ট্যুইট করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।



পড়ুন: 'অমানবিক মুখ্যমন্ত্রী!' ট্যুইট প্রত্যাহার করে ক্ষমা চান, বাবুলকে আইনি নোটিস অভিষেকের


নোটিসে বাবুলের উদ্দেশে বলা হয়েছিল, আপনার ট্যুইটে যে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, তা ভুয়ো, মিথ্যে এবং বিভ্রান্তিমূলক। এই ট্যুইটের মাধ্যমে আমার মক্কেল (অভিষেক) এবং মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থকদের উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।


নোটিসে আরও বলা হয়েছিল, আপনি আপনার ট্যুইটে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে "অমানবিক মুখ্যমন্ত্রী" শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছেন। আপনার পোস্ট করা ট্যুইটটি ভুয়ো, অবমাননাকর, হানিকারক ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। আপনি যেভাবে বক্তব্যের একটি অংশকে বেছে নিয়ে তা ভুলভাবে পেশ করেছেন, তাতে এটা স্পষ্ট যে, আপনি জনগনের কাছে ভুল তথ্য তুলে দিতে উদগ্রীব।


প্রসঙ্গত, মহালয়া উপলক্ষে একটি ভিডিও-বার্তা দিয়েছিলেন অভিষেক। সেখানে তিনি বলেছিলেন, "মুখ্যমন্ত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয় হবে বাংলার।"


কিন্তু ওই ভিডিওর একটি অংশে অভিষেকের মুখ থেকে বের হওয়া একটি মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন গায়ক তথা বিজেপি সাংসদ। অভিষেকের ওই ভিডিও-বার্তার একটি বিশেষ অংশ ট্যুইট করে বাবুল লিখেছিলেন, "মুখ ফসকে সত্যি কথাটা বেরিয়ে গেছে - 'অমানবিক মুখ্যমন্ত্রী'। "


এখানেই থেমে না থেকে বাবুল আরও লিখেছিলেন, "আমি একটুও আশ্চর্য নই যে এটা পোস্ট করা ভিডিওতে রয়ে গেছে - কারণ যারা এটা শুট করেছে তারাও 'অমানবিক মুখ্যমন্ত্রী' দিদির অমানবিক তৃণমূলী দুষ্কর্মে এতটাই লিপ্ত যে ভুল করে 'বেরিয়ে' যাওয়া এই সত্যটি ওরা ধরতেই পারেনি।"