কলকাতা: এবার রাজ্যজুড়ে হবে করোনার টিকাকরণ-প্রক্রিয়ার মহড়া। শুক্রবার রাজ্যজুড়ে হবে ‘ড্রাই রান’। এমনটাই জানা গিয়েছে স্বাস্থ্যভবন সূত্রে। ২ জানুয়ারি রাজ্যে ৩ কেন্দ্রে ‘ড্রাই রান’ হয়েছিল।


গতকালই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব ঘোষণা করেন, ১০ দিনের মধ্যে দেশজুড়ে জরুরি ভিত্তিতে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকাঠামো তৈরি রয়েছে। বলেন, ৩ জানুয়ারি অ্যাপ্রুভাল দেওয়া হয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে ইমপ্লিমেন্ট করতে পারি। তবে, এই সিদ্ধান্ত সরকারকে নিতে হবে।


রবিবার কোভিশল্ড ও কোভ্যাক্সিনকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া বা ডিজিসিআই। তার দু’দিনের মধ্যেই সমস্ত জল্পনার অবসান করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়ে দিল, আগামী সপ্তাহ থেকে দেশজুড়ে ভ্যাকসিন দিতে তারা প্রস্তুত আছেন।


কীভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, তা বুঝে নিতে রবিবার দেশজুড়ে মহড়া হয়। রাজ্যের ৩ জায়গায় করা হয় ভ্যাকসিনের ড্রাই রান। বিধাননগর পুরসভার অন্তর্গত দত্তাবাদ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, মধ্যমগ্রাম পুরসভার অন্তর্গত আর্বান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার ফোরে, এবং আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে হল টিকাকরণ প্রক্রিয়ার মহড়া।


প্রত্যেক জায়গায় ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী শনিবার অংশ নেন মহড়ায়। সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রেখে বসানো হয় স্বাস্থ্যকর্মীদের। তারপর এক একজন করে তাঁদের প্রথমে ডেকে নেওয়া হয়। ওয়েটিং রুমে, সেখানে হয় নথি পরীক্ষা। এরপর নিয়ে যাওয়া ভ্যাকসিনেশন রুমে সেখানে হয় স্বাস্থ্যপরীক্ষা। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর স্বাস্থ্যকর্মীকে রাখা হয় অবজার্ভেশন রুমে।


মহড়া চলাকালীন আইসিএমআরের পোর্টাল খুলতে গিয়ে কী অভিজ্ঞতা হয়েছে তা নথিভুক্ত করা হয়। স্বেচ্ছাসেবকদের কী কী প্রশ্ন ছিল তাও নথিভুক্ত করা হয়। সূত্রের খবর, এই নিয়ে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকে।


সেই সফল ড্রাই রানের পর এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, প্রথম দফায় ৩ কোটি ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তার মধ্যে রয়েছেন ১ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী। বাকি ২ কোটি ভ্যাকসিন পাবেন করোনা যোদ্ধা।


স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ভ্যাকসিন আসতে পারে। প্রস্তুত হতে জেলাগুলিকে দেওয়া হয়েছে নির্দেশ। কলকাতা-সহ দেশের ৪ জায়গায় ভ্যাকসিন মজুত করার জন্য বড় কেন্দ্র তৈরি হয়েছে।


স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, প্রথম দফায় ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ ভ্যাকসিনের ডোজ আসবে। অতিরিক্ত ঝুঁকিতে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। এরপর প্রোটোকল অনুযায়ী বাকিদের দেওয়া হবে। যদিও পরিস্থিতি অনুযায়ী বদলাতে পারে পরিকল্পনা বলেও জানা গিয়েছে।