কলকাতা: আচমকাই বঙ্গ রাজনীতিতে চমক! কোনও দলে যাব না ঘোষণা করেও, গতকাল তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটে হারের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়া, রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণেই রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাবুল। আর এবার নতুন দলে যোগ দেওয়া নিয়েও চড়ছে তরজার পারদ।বিজেপি দাবি করেছে, বাবুলের যোগদানে দলের কোনও ক্ষতিই হবে না। ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখানোর পর আজ বাবুলকে বিঁধলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ভবানীপুরে প্রচারে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, আবেগ দিয়ে রাজনীতি করেন বাবুল সুপ্রিয়। দলবদলের সিদ্ধান্তও আবেগের বশে। তিনি এমপি, ছিলেন মন্ত্রী ছিলেন। কোনওদিন বিজেপি হয়ে উঠতে পারেননি। তিনি তারকা, তারকাই থেকে গিয়েছেন। আমি বরাবরই বলে এসেছি, উনি রাজনীতির মানুষ হন। আবেগের বশে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।


দিলীপ ঘোষ,এভাবে দলবদল মানুষ খুব ভালো চোখে দেখেন না। রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা নষ্ট হয়।


ভবানীপুরে প্রচারে এসে বাবুল সুপ্রিয়কে কটাক্ষ করেছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহও।  তাঁর দাবি,  বাবুল সুপ্রিয় কোনও ফ্যাক্টর নন, টালিগঞ্জে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে হেরেছেন।


প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের হয়ে প্রচারে বেরিয়ে এই দাবি অর্জুন সিংয়ের। একইসঙ্গে বিজেপি সাংসদের কটাক্ষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে প্রার্থী সেখানেও প্রচারে নেমে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিরোধী প্রার্থীকে। অর্জুন সিংহ বলেন, "রোজই আমাদের পোস্টার তুলে দিচ্ছে। রোজই পুলিশের সামনে ভেঙে দিচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে না মুখ্যমন্ত্রী যেখানে নিজে লড়ছেন সেখানেও কীভাবে এসব হয়।" 


বাবুল সুপ্রিয়র তৃণমূলে যোগদানের প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ তাঁকে, 'পলিটিক্যাল ট্যুরিস্ট' বলে কটাক্ষ করেছেন। এবার বাবুলের হয়ে মাঠে নামলেন ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদ এই প্রসঙ্গে দিলীপকে পাল্টা বলেন, "ট্য়ুরিস্ট পলিটিশিয়ানকে নিয়ে আসানসোলে দুবার জিতেছিল বিজেপি, ট্য়ুরিস্ট পলিটিশিয়ানকে দিয়ে টালিগঞ্জে জেতার চেষ্টা করেছিল, ট্যুরিস্ট পলিটিশানকে দিয়েই বাংলায় নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছিল। এখন তিনি তখন বিজেপি নেই, তখন এ সব কথা বলছেন। শুধু বাবুল সুপ্রিয় নয়, বেশ কিছু বড় নাম বিজেপি ছেড়ে আগামী দিনে চলে আসবেন তৃণমূলে। যিনি হই হই করছেন, তিনিও মন্ত্রিত্ব পাননি, পা বাড়িয়ে রয়েছেন। আমরা নিচ্ছি না। দ্বন্দ্বের এখানে স্থান নেই।"