কলকাতা: পুরুলিয়ায় বজরং দলের রামনবমীর মিছিল ঘিরে উত্তেজনা। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ। মৃত্যু হল এক গ্রামবাসীর। আহত পাঁচ পুলিশকর্মী। আটক ১৫।
যে রামনবমীর কথা এতদিন অনেকে টেরই পেতেন না, সেই রামনবমীর মিছিলে এবার ঝরল প্রাণ। পুরুলিয়ার আড়শা থানার ভুরশো গ্রামের ওপর দিয়ে বজরং দলের শোভাযাত্রা যাচ্ছিল। সেই সময় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা বাধে। পরে সেটাই তুমুল সংঘর্ষের আকার নেয়!!! শুরু হয় ইট ও পাথরবৃষ্টি!
পুলিশ যাওয়ার আগেই এলাকা রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে! কয়েকটি দোকানে আগুন লাগানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের ওপর চড়াও হয় স্থানীয়দের একাংশ। শুরু হয় খণ্ডযুদ্ধ। পুলিশকে লক্ষ্য ইট ছোড়া হয়। আহত হন ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসার-সহ ৫ পুলিশকর্মী।
ঘটনায় জখম হন ৩ গ্রামবাসী। একজনকে দেবেন মাহাত সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। রামনবমীর মিছিল ঘিরে রাজ্যের অন্যান্য জায়গাতেও উত্তেজনা দেখা দেয়। হুগলির চুঁচুড়ায় অস্ত্রপুজো নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি বাধে।
পুলিশ মিছিল আটকালে সল্টলেকের ১৩ নম্বর ট্যাঙ্ক এবং শ্রাবণী আবাসনের সামনে উত্তেজনা তৈরি হয়। নিউটাউনে পুলিশ বাইক মিছিল আটকানোয়, পথ অবরোধ করে বিজেপি।
বীরভূমের সাঁইথিয়ায় রুট ভাঙা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় মিছিলকারীদের। এরমধ্যেই আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা, হাওড়ার উলুবেড়িয়া-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রামনবমীর মিছিলে অস্ত্র দেখা গিয়েছে।
কলকাতার মৌলালির কাছে এদিন অস্ত্র পুজো করে ‘জয় শ্রীরাম স্বাভিমান মঞ্চ’। মিছিল শুরুর আগে অবশ্য অস্ত্রগুলি তারা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।