বাঁকুড়া: দ্বিতীয়বারও কন্যাসন্তান। তাই যিনি এই পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিলেন, সেই মা কি না প্রাণটা কেড়ে নিলেন! এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বাঁকুড়ায়।
বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি থানা এলাকার কুকড়াজোড়ের গৃহবধূ, বছর আঠাশের ঝুমা মণ্ডলের বছর তিনেকের মেয়ে রয়েছে। শনিবার বাড়িতে তিনি আরেক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। সদ্যোজাতের শরীর খারাপ হওয়ায় ভর্তি করা হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
অভিযোগ, রবিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ হাসপাতালের দোতলার শৌচালায় থেকে অসুস্থ সদ্যোজাতকে নীচে ফেলে দেন মা ঝুমা  হাসপাতাল কর্মীদের দাবি, প্রথমে প্রসূতি বলেন, তাঁর সন্তান চুরি হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু, কর্তৃপক্ষের প্রশ্নের মুখে শেষমেশ সব কিছু স্বীকার করে নেন। সঙ্গে সঙ্গে নীচে ছুটে যান হাসপাতালের কর্মীরা। উদ্ধার হয় সদ্যোজাতর নিথর দেহ। কিন্তু, একজন মা কী ভাবে এ কাজ করতে পারলেন? বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, পার্থপ্রতিম প্রধানের দাবি, প্রসূতির পরিজনরা তাঁকে জানিয়েছেন, পরপর ২ বার কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ায় মানসিক চাপে পড়েই এই কাজ করেছেন গৃহবধূ।
গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে, অনেকেরই প্রশ্ন, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের মতো জায়গায়, কীভাবে একজন সদ্যোজাতকে বাথরুমের জানলা থেকে নীচে ফেলে দেওয়া হল? তা হলে কোথায় নজরদারি? কোথায় নিরাপত্তা? এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মুখে কুলুপ।