বাখরাহাট:  বাখরাহাটকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ঘাতক গাড়ির চালক শেখ কালুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পরুশু দিনের দুর্ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত ছিল বিষ্ণুপুরের বাখরাহাট। গতকাল ও আজ সকাল থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারির দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। অবশেষে পুলিশের জালে মুল অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। হেফাজতে নেওয়ার জন্যে আদালতে আবেদন জানাবে পুলিশ।


সোমবার বিকেলে বাখরাহাট রোডে স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার জন্য অপেক্ষা করছিল বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। ছিলেন কয়েকজন অভিভাবকও। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দ্রুত গতিতে তাঁদের ওপর উঠে যায় একটি গাড়ি! মৃত্যু হয় সুরেখা সরদার নামে এক মহিলা ও তাঁর ৫ বছরের ছেলে অভিজিতের। আহত হয় ৬ জন।

আহত ৬ জনের মধ্যে ২ জনকে প্রাথমিক চিকিত্সার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও রাজারহাটের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি
করা হয় ১৮ বছরের রাকেশ কয়াল ও তাঁর মামাতো বোন নবম শ্রেণির ছাত্রী প্রিয়ঙ্কা মণ্ডলকে। অন্যদিকে, এসএসকেম-এ ভর্তি করা হয় ৮ বছরের পায়েল মণ্ডল ও ৬ বছরের অনুশ্রী মণ্ডলকে।

তারপর থেকে ঘাতক গাড়ির চালককে গ্রেফতারির দাবিতে চলতে থাকে পথ অবরোধ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সোম ও মঙ্গলবার নির্বিচারে তাদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এরপরই গতকাল রাতে উত্তেজিত জনতা পুলিশকে মারধর ও ফাঁড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশের গাড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অবশেষে আজ গ্রেফতার হল ঘটনার মূল অভিযুক্ত।