মুন্না আগারওয়াল, বালুরঘাট: আবারও অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলে নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট শহরে সাহেব কাচারী এলাকায় এক অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলে। এর জেরেই খবরের শিরোনামে এই স্কুলটি। বালুরঘাট সাহেব কাচারি এলাকায় একটি সরকারি অঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। সেখানেই বাচ্চাদের শুক্রবার চালডাল বিলি করা হচ্ছিল। কিন্তু সেই নিয়েই এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগের কারণ নিম্মমানের খাবার। যেই খাবার দেওয়া হচ্ছিল বাচ্চাদের, তা কোনওভাবেই ভাল নয়, উন্নমানের নয় বলেই অভিযোগ করেছেন সেই বাসিন্দা। এছাড়া তিনি আরও অভিযোগ করেন সরকার এমন খাওয়ার কোনওভাবেই বাচ্চাদের জন্য দিতে পারেন না। যদি স্কুলের কোনও শিক্ষক শিক্ষিকা উন্নতমানের চালডাল নিজেরা নিয়ে নেন, সেই বিষয়ও সুপারভাইজারের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। কিন্তু লিখিতভাবে অভিযোগ করার পরেই সমস্ত তথ্য ওই ব্যক্তিকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সুপারভাইজার। যদিও সূত্র মারফৎ জানা গেছে দীর্ঘ চার মাস ধরে স্কুল বন্ধ ছিল। ফলে ডালের বস্তায় পোকা ঢুকে যেতে পারে। এছাড়াও ফাঙ্গাস দেখা গিয়েছে। যদিও এই বিষয় অভিযুক্ত ব্যক্তি এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ করেনি।


অভিযোগকারী ব্যক্তি গৌতম চক্রবর্তী বলেন, 'নিম্নমানের খাওয়ার, নিম্নমানের ডাল দেওয়া হচ্ছে এখানে। এটা কোনওভাবেই বাচ্চাদের খাওয়ার জন্য উপযুক্ত নয়। ওরা বলছে চারমাস আগে থেকে পড়ে রয়েছে। এই ডালে বালি, পোকা দেখা যাচ্ছে। কীভাবে এই ডাল দিচ্ছে ওরা। আমি তাই সুপারভাইজারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। কারা সাপ্লাই দিচ্ছে এই ডাল সেই কগজও চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা আমাকে কাগজ দিতে চাইছে না।'


এই বিষয়ে সুপারভাইজার বলেন, 'আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। কিন্তু আমরা বলেছিলাম যে ওনাকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানাতে যে সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে এই ডাল। কিন্তু তা উনি লিখিত অভিযোগ জানাতে চাইছেন না। আমরা আমাদের কর্মীদেরও বলে দিয়েছি যে খারাপ কিছু যেন না দেওয়া হয়। তেমন হলে অন্য সেন্টার থেকে এনে ডাল যাতে বিলি করা হয়। কিন্তু লিখিত অভিযোগ এই বিষয়ে না দেওয়া হলে আমাদের পক্ষে কোনও কাগজ দেওয়া সম্ভব নয়।'