সমীরণ পাল, বনগাঁ: রোগী নিয়ে এসেছিলেন এক অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার। কিন্তু তাঁকেই মার খেতে হল। বনগাঁ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার ইউনিয়নের কয়েকজনের বিরুদ্ধে মারধর করার এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠল।
বনগাঁ হাসপাতালে আই সি ইউ যুক্ত অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় কলকাতা থেকে একটি বেসরকারি নার্সিং হোম থেকে আই সি ইউ যুক্ত অ্যাম্বুলেন্স এনেছিল এক রোগীর আত্মীয়রা। সেই অ্যাম্বুলেন্স চালক ও তার টেকনিশিয়ানকে মারধরের অভিযোগ উঠল বনগাঁ হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের বিরুদ্ধে।
রোগীর পরিজন সূত্রে জানা গিয়েছে ৭ তারিখে বনগাঁ জয়পুর মাঠ পাড়ার বাসিন্দা পরিমল সরকার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু ক্রমাগত তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরপরই তাঁকে কলকাতায় রেফার করে বনগাঁ হাসপাতাল। রোগীর পরিজনেরা সেইমতো কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিং হোম এর সঙ্গে যোগাযোগ করে। বনগাঁয় আই সি ইউ যুক্ত অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় রোগীকে নেওয়ার জন্য ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ একটি অ্যাম্বুলেন্স পাঠান।
অভিযোগ উঠেছে, অ্যাম্বুলেন্সটি বনগাঁ হাসপাতালে এসে দাঁড়াতেই বনগাঁ হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স ইউনিয়নের কয়েকজন মদ্যপ অ্যাম্বুলেন্স চালক তাদের ডাকে। এরপর সেই চালক বাইরের থেকে আসার জন্য তাদের কাছে টাকা দাবি করে। টাকা না দিতে চাওয়ায় ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও টেকনিশিয়ানকে বেধড়ক মারধর করে তারা। এবং টেকনিশিয়ানের মোবাইল ফোনটি ভেঙে দেয়। খবর পেয়ে রোগীর পরিজনেরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পরবর্তীতে রুগীর পরিবারের পক্ষ থেকে বনগাঁ হাসপাতালের ওই চালকদের বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আক্রান্ত টেকনিশিয়ান সাঈদ পিয়াদা বলেন, 'এমার্জেন্সি ওয়ার্ডের সামনে আমাদের হঠাৎ করে ডাকে ওরা। এরপরই অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। সবাই মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে আমরা আর কিছুই বলিনি। কিন্তু আমাদের ওপর আক্রমণ করে বসে ওরা। আমরা কেন এসেছি এই নিয়েও প্রশ্ন করতে থাকে।' যদিও এই ঘটনায় এখনও কারও বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।