উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা:  কলকাতার আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে শিলিগুড়ির অনিল বিশ্বাস ভবন, সিপিএমের পার্টি অফিসগুলিতে এতদিন শুধুমাত্র লাল পতাকাই উড়তে দেখেছে সবাই। তবে আগামী রবিবার বদলে যেতে পারে ছবিটা। লাল পতাকা ছাড়াও, ওই দিন সেখানে দেখা যেতে পারে জাতীয় পতাকা। কারণ, স্বাধীনতার ৭৪ বছর পর এই প্রথমবার ১৫ অগাস্ট পার্টি অফিসগুলিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম। শুধু তাই নয়, এক বছর ধরে দিনটি উদ্‍যাপন করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।


রবিবার শেষ হয়েছে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। সূত্রের খবর, সেই ভার্চুয়াল বৈঠকেই স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের প্রস্তাব দেন সুজন চক্রবর্তী। সেই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জানিয়েছেন, রাজ্য নেতৃত্ব চাইলে ১৫ অগাস্ট দলের পার্টি অফিসগুলিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে।


মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় সরকারিভাবে স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতেন জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা। কিন্তু তাঁদের দল ওই দিন নানা কর্মসূচি নিলেও, পার্টি অফিসে উঠত না জাতীয় পতাকা। যার ব্যতিক্রম ঘটতে পারে আগামী রবিবার। ১৫ অগাস্ট দেশের পতাকা উড়তে দেখা যেতে পারে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট-সহ সিপিএমের অন্যান্য পার্টি অফিসে।


কিন্তু স্বাধীনতার ৭৪ বছর পর কেন এমন মত বদল? রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, স্বাধীনতা দিবস পালন না করায় সিপিএমকে অনেকেই বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে মনে করেন। সেই তকমা ঘোচাতেই এবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


অন্যদিকে, ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পরেও বিমান বসু ও  সূর্যকান্ত মিশ্রদের পাশে দাঁড়ালেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে, সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক। সূত্রের খবর, ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পর বাংলায় সিপিএমের ফল শূন্য হওয়ায় সেখানে একাধিক সদস্যের তোপের মুখে পড়তে হয় বঙ্গ বিগ্রেডকে। প্রশ্ন ওঠে, কংগ্রেস বা আইএসএফের সঙ্গে জোটের কৌশল নিয়েও। যদিও, কেন্দ্রীয় কমিটির রিপোর্টে স্পষ্ট করা হয়েছে, আসন সমঝোতায় ভুল ছিল না।