সমীরণ পাল, কচুয়া : করোনা আবহেও এ বছরও বন্ধ থাকছে কচুয়ায় লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রমে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দূর-দূরান্তের জেলা থেকে এখানে আসেন লক্ষাধিক পুণ্যার্থীরা। এবারও করোনা আবহে ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে চলতে কড়া নিয়ম জারি রাখছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। 


উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমা কচুয়া ধামের মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুরোহিতরা ছাড়া ৫০ জন পুণ্যার্থীকে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।

কচুয়া হল লোকনাথ ব্রহ্মচারীর পীঠস্থান।   প্রতিবছর জন্মাষ্টমী উপলক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ভক্ত সমাগম হয় 'বাবা'র মন্দিরে। নদীর ঘাট থেকে বাঁকে করে জল নিয়ে আসেন পুণ্যার্থীরা।  শ্রাবণ মাসে যেমন মহাদেবের মাথায় জল ঢালার রীতি আছে, তেমনই লোকনাথ-ভক্তরা মন্দিরে এসে জল ঢালেন।  প্রায় লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয় এই জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠানে কচুয়া ধামে। ২০২০ থেকে করোনা পরিস্থিতিতে অন্যান্য সব ধর্মস্থানের মতোই উত্সবের নিয়মে আনা হয়েছে কড়াকড়ি। 

সোমবার, কচুয়া লোকনাথ মন্দিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত বছরের মতোই এই বছরও করোনা বিধিনিষেধ মেনে প্রশাসনিক নির্দেশে জন্মাষ্টমীপালন বন্ধ রাখা হয়েছে।  প্রতিবছরই পুণ্যার্থীরা বাগবাজার ঘাট,  হাসনাবাদ ঘাট সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে গঙ্গার জল বাঁকে ঝুলিয়ে এসে পৌঁছান মন্দিরে। কর্তৃপক্ষের তরফে বার্তা দিয়ে বলা হয়েছে, প্রার্থনা বাড়িতেই সারতে।  একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ৫০ জন ভক্ত নিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শুধূ মন্দিরের পুরোহিত, কর্তৃপক্ষের সদস্যবৃন্দ এই জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান পালন করবেন। জন্মাষ্টামীতে পুজো দেওয়া বন্ধ থাকছে, এই কথা  ঘোষণা হতেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে পুণ্যার্থীরা আগেভাগেই কচুয়া লোকনাথ লোকনাথ মন্দিরে এসে পুজো দিয়ে যাচ্ছেন। 

এই বছর পুরীর মন্দিরে রথযাত্রা উত্সবও সাধারণ ভক্তদের জন্য বন্ধ ছিল। অন্যান্য রথযাত্রা উত্সবও ধূমধাম করে পালন হয়নি। মাহেশের রথের উত্সবেও রাশ টানা হয়। ইস্কনের মন্দিরের রথও প্রদক্ষিণ করেনি শহরজুড়ে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বাড়বাড়ন্ত কিছুটা কমলেও, তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা বাড়ছে। তাই উতসবের আবহে কোনওভাবেই বিধি শিথিল করছে না কচুয়াধামের মন্দির কর্তৃপক্ষও।