কলকাতা: রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধানে ভারতের সাহায্য চাইলেন শেখ হাসিনা ওয়াজেদ। মানবিকতার কারণেই রোহিঙ্গাদের তাদের মাটিতে থাকতে দিয়েছে, তবে মায়ানমার সরকার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের ফিরিয়ে নিক, বাংলাদেশ এটাই চায় বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন উত্সবে আসা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সেখানে বাংলাদেশ ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর ভাষণে বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মানবিকতার খাতিরে ওদের থাকতে দিয়েছি আমরা। আমরা চাই, যত শীঘ্র সম্ভব, ওরা নিজেদের দেশে ফিরে যাক। মায়ানমার সরকার যাতে ওদের ফিরিয়ে নেয়, সেজন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ, বোঝাপড়ার ব্যাপারে ভারতের সাহায্য প্রার্থনা করছি।
রোহিঙ্গাদের প্রতি সমবেদনার সুর ছিল তাঁর কথায়। হাসিনা বলেন, নির্যাতিত মানুষগুলোকে কী করে আশ্রয় প্রত্যাখ্যান করব। আমরা ১৬ কোটি মানুষের দেশ। ১৬ কোটি মানুষের মুখে অন্ন দিতে পারলে আরও ৫-৭ লক্ষ মানুষকেও খাওয়াতে পারব, প্রয়োজনে নিজেদের খাবার ভাগ করে নেব ওদের সঙ্গে। আমি সহযোগিতা, শান্তি বহাল রাখতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে দুদিনের ভারত সফরে এসেছেন হাসিনা।
এদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাঁর অবস্থান জানানোর মধ্যেই খবর মিলেছে, মনিপুরে জাল আধার কার্ড সহ বাস থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন রোহিঙ্গাকে। সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের ঠিকানা রয়েছে আধার কার্ডগুলিতে। গত ২০ মে উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দে এটিএসের হাতে আরেক রোহিঙ্গা ধরা পড়ে। জুনেইদ খান নামে লোকটি মনিপুর থেকে এসেছিল। দেওবন্দের একটি ভাড়াবাড়ির ঠিকানায় জাল পাসপোর্ট বের করতে সরকারি নথি জাল করার দায়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।