পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: শিশু পাচার কাণ্ডে তিন অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু সিআইডির। তদন্তে স্কুলে গেলেন সিআইডির আধিকারিকরা। ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত। এদিকে শিশু পাচার কাণ্ডে আজ অভিযুক্ত সতীশ ঠাকুরের বক্তব্যে নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।


গতকালই বাঁকুড়ার শিশু পাচার কাণ্ডের তদন্তভার নিজেদের কাঁধে তুলে নেয় সিআইডি।  সিআইডির পাঁচ তদন্তকারী আধিকারিক গতকাল পুলিশ হেফাজতে থাকা প্রধান তিন অভিযুক্তকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসবাদ করেন। আজ সকালে সিআইডি আধিকারিকরা তদন্তে বাঁকুড়ার কালপাথর এলাকায় থাকা জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ে যান। সেখানে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের সাথে কথা বলেন। তদন্তকারীরা ঘুরে দেখেন স্কুল চত্ত্বরে পৃথক আবাসনে থাকা অভিযুক্ত অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়া ও শিক্ষিকা সুষমা শর্মার বাড়ি। কথা বলেন অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ও শিক্ষিকার প্রতিবেশীদের সঙ্গে। গত রবিবার যে এলাকায় অধ্যক্ষ দুই শিশুকে জোর করে একটি মারুতি ভ্যানে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ সেই এলাকায় ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। কথা বলেন এই ঘটনার মূল অভিযোগকারী কালপাথর এলাকার ব্যবসায়ী ষষ্ঠী বাউরীর সঙ্গে। শিশুদের কোথায় পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল কীভাবেই বা শিশুদের মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ও শিক্ষিকার, তদন্তে নেমে সেই বিষয়গুলি জানার চেষ্টা করেন সিআইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। এদিন অবশ্য ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি তদন্তকারী আধিকারিকরা।


এদিকে শিশু পাচারের ঘটনায় ধৃত তিন অভিযুক্তর আজ পুলিশ হেফাজত শেষ হতেই আজ সিআইডি ওই তিন অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিতে আদালতে আবেদন জানায়। আদালত তিন অভিযুক্তকে পাঁচদিন সি আই ডি হেফাজতে রাখার আবেদন মঞ্জুর করে। অন্যদিকে আজ বাঁকুড়া জেলা আদালত থেকে অভিযুক্তদের নামানোর সময় অভিযুক্ত সতীশ ঠাকুরের বক্তব্যে নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জলঘোলা। সতীশ ঠাকুর এদিন দাবি করেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা রাজনৈতিক কারণে তাঁদের ফাঁসিয়েছে। ফাঁসানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূলের বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি সন্দীপ বাউরীর বিরুদ্ধে। যদিও এই ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ অস্বীকার করেছেন সন্দীপ বাউরী নিজেও।