রানা দাস, দুর্গাপুর: উচ্চমাধ্যমিকে ফল প্রকাশের পর থেকেই স্কুলে স্কুলে বিক্ষোভের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। এবার ঘটনাস্থল দুর্গাপুর। পাস করিয়ে দেওয়ার দাবিতে শনিবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় ধাত্রীগ্রাম বালিকা বিদ্যালয়ে। এ দিন পথ অবরোধ করেন অকৃতকার্য ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকরা। অভিযোগ উঠেছে, যারা স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে প্রাইভেট টিউশন নিয়েছে, শুধুমাত্র তারাই উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করেছে। বাকি সকলেই ফেল করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।


সবমিলিয়ে শনিবার দুপুর বাড়তেই জমায়েত বাড়তে থাকে স্কুল চত্বরে। যারা ফেল করেছে তাদের প্রত্যেককে পাস করিয়ে দিতে হবে এই দাবিতে স্কুলের প্রধান শিক্ষসহ বাকি শিক্ষকদের ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রী ও অভিবাবকরা । দুর্গাপুরের সংশ্লিষ্ট স্কুলের এই ঘটনায়  উত্তেজনা ছড়িয়েছে।


করোনা আবহে চলতি বছর মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক কোনও পরীক্ষাই হয়নি। বিগত বছরের নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর তৈরি করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে ফলাফল ঘোষণা করেছেন সভাপতি মহুয়া দায়। সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, এ বছর পাসের হার প্রায় ৯৭ শতাংশ। বাকি অনুত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রী প্রায় ৩ শতাংশ। আর এর পর থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনার খবর এসেছে। বেশকিছু স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি তাঁদের অনাহ্যভাবে ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই অবস্থান, বিক্ষোভ, প্রতিবাদে নেমেছে তারা।


এ দিন বড়িশা বিবেকানন্দ গার্লস হাইস্কুলেও একই কারণে উত্তেজনা ছড়ায়। পাস করিয়ে দেওয়ার দাবিতে স্কুলের সামনে আজ বিক্ষোভ দেখান উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীরা।


জানা গিয়েছে এ বছর এই স্কুলের ৩৪ জন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন। পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবিতে এ দিন তাঁরা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আন, এমন অবরোধকারীদের তুলে দেয়। এই একই ছবি দেখা গিয়েছে শিবরামপুরেও। শিবরামপুরের ননীলাল বিদ্যাপীঠেও বিক্ষোভ দেখান উচ্চমাধ্যমিকে অকৃতকার্যরা। পথ অবরোধও করা হয়।