তুহিন অধিকারী, ইন্দাস(বাঁকুড়া): এবার বাঁকুড়ার মেয়ে পাচ্ছে 'কন্যাশ্রী' সম্মান। করোনাকালে সমাজের জন্য এক স্কুলছাত্রীর ভাবনাকে কৃতিত্ব জানানোর উদ্দেশ্যে এবার জেলার মেয়েকে সম্মানিত করবে রাজ্য।
ইন্দাস ব্লকের ছোট গোবিন্দপুর এসএন পাঁজা হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী পায়েল নন্দীর মাথায় উঠতে চলেছে সেই শিরোপা। জানা গেছে, করোনার ভয়াবহতা দেখে সে নিজের কন্যাশ্রীর টাকা তুলে মাস্ক কিনে সেগুলি বিলি করেছে পাড়াগ্রাম থেকে হাট বাজার সব জায়গাতেই।
আর দশম শ্রেণীর ছাত্রীর মহান অবদানকে কুর্নিশ জানাবে রাজ্য। তার এই মহৎ কাজের স্বীকৃতি হিসাবে আগামী ১৪ অগাস্ট কন্যাশ্রী দিবসে তাকে পুরস্কৃত করবে রাজ্য সরকার।
পায়েলের মা ও বাবা বলেন, "ছোট থেকে ছেলেমেয়েদের মানবতার শিক্ষা দিয়েছি।" আর পায়েলের এই মহান কাজ এবং তার স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার প্রাপ্তির খবর পেয়ে তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রসেনজিৎ সরকার বলেন, “পায়েলের এই কাজ নিঃসন্দেহে দৃষ্টান্তমূলক।’’
এই দশম শ্রেণীর ছাত্রীর এই প্রশংসা করেছেন খোদ বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক অনুপ কুমার দত্ত। তিনি বলেন, "পায়েল যেভাবে পদক্ষেপ নিয়ে এই মাস্ক বিতরণের কাজ করেছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং সকলের কাছে একটি দৃষ্টান্তমূলক কাজ।"
অন্যদিিকে, গতমাসে কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে জয়নগরের শ্যামসুন্দর বালিকা বিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মী ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে। কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা নিজের ও তার পরিচিতদের অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়ে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ওই কর্মী ও তাঁর বাবাকে।
কীভাবে কন্যাশ্রীর টাকা দিনের পর দিন আত্মসাৎ করতেন ওই কর্মী, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্কুলের তরফে জানা যায়, ২০১৭ সাল থেকে ওই স্কুলে কাজ করতেন তিনি। কিন্তু বেশ কিছু ঘটনায় সন্দেহ হওয়ায় ২০২০ সালে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
ওয়েবসাইটে ছাত্রীদের অ্যাকাউন্ট নম্বর না দিয়ে, নিজের অ্যাকাউন্ট নম্বর সহ পরিচিতদের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েছেন ওই কর্মী, এমনটাই জানা যায়।