কলকাতা : একে একে ত্রিপুরায় পৌঁছেছেন তৃণমূলের ৮ সাংসদ। দোলা সেন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অর্পিতা ঘোষ, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রতিমা মণ্ডল, অপরূপা পোদ্দার, আবীররঞ্জন বিশ্বাস, আবু তাহের খান ছাড়াও এই দলে আছেন বসুন্ধরা গোস্বামী। ত্রিপুরায় পৌঁছে গেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। আগরতলায় রয়েছেন সাংসদ শান্তনু সেন ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত-সহ তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের গ্রেফতারি ঘিরে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত ত্রিপুরার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। তাঁরা জামিন পেলেও তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতারির সংখ্যা বাড়ছে।


ত্রিপুরা পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূলকেই এক হাত নিলেন দিলীপ ঘোষ। ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের বারবার lত্রিপুরা ও দিল্লি যাওয়া নিয়ে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আপাতত বিমান ভাড়া করেছেন। এরপর সরকার বিমান কেনার অর্ডার দিয়েছে। সেটা এলেই একবার দিল্লি একবার ত্রিপুরা করবে। তৃণমূল সাংসদদের ত্রিপুরা যাওয়া প্রসঙ্গে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের। ' 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই মাসের শুরুতেই দিল্লিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি বিরোধী বেশ কয়েকজন নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এখন থেকে ২ মাস অন্তর দিল্লি যাবেন তিনি। সেই সময়ও মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লিযাত্রাকে কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। 

দিলীপের মন্তব্যের জবাবে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'ওঁরা যখন বিধানসভা ভোটের আগে বারবার এ রাজ্যে আসতেন, তখন ওঁরা কার বিমানে আসছেন, তা নিয়ে তো কেউ প্রশ্ন তোলেনি ! আদানির বিমান না মেহুল চোক্সির বিমানে চড়ছেন বিজেপি নেতারা কেউ প্রশ্ন করেনি। বরং বিজেপির ভাবা উচিত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ যা ভাবেন, বিশ্বের মানুষ আগামীতে তা ভাবে।'


তৃণমূলের দাবি, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ত্রিপুরায় তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল বিজেপি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, দোলা সেন, কুণাল ঘোষদের মতো নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও হামলা রুখতে, আইনি সাহায্য দিতে ত্রিপুরায় যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। তৃণমূলের তত্পরতার মধ্যেই আজ আগরতলাতে পাল্টা কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি।  

তৃণমূলের এই অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছেন দিলীপ। তিনি বলেন, '' ত্রিপুরায় তৃণমূল কে করে? কার বাড়িতে রেড করবে? ওখানে নিয়মকানুন আছে,পুলিশ আছে, সরকার আছে। ওখানে করোনা পরিস্থিতিতে যারা আইন ভাঙবে তারা গ্রেফতার হবে। '' 

এর জবাবে কড়া ট্যুইট করেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি লেখেন, 'মহামারী আইন দেখিয়ে তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়, ‘অথচ আজ বিজেপি মিছিল করছে। ‘মহামারী আইনের গায়ে কি দলের নাম লেখা আছে ? পুলিশ প্রশাসন এখন দেখতে পাচ্ছে না ? আসলে ভয় পেয়েছে বিজেপি'