পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন শতাধিক নেতা-কর্মী। আজ বাঁকুড়ার তৃণমূল জেলা সভাপতির হাত থেকে পতাকা নিয়ে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেয় ৩৫টি পরিবার। এই ঘটনায় বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।


শুক্রবার বাঁকুড়ার মাচানতলায় বিজেপির বাঁকুড়া নগর মণ্ডলের সম্পাদক ত্রিদিব রুইদাস সহ প্রায় শতাধিক নেতা কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে। মাচানতলায় মঞ্চ বেঁধে তৃণমূলে যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন শাসকদলের জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া পুরসভার পুরপ্রশাসক বোর্ডের সদস্য এবং তৃণমূলের শহর নেতৃত্ব।   


বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানকারীদের দাবি, বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ বা বিধায়ক মানুষের পাশে নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সামিল হতেই তাঁদের দল বদল। 


তৃণমূলে যোগদানকারী বিজেপি নগর মণ্ডলের সম্পাদক ত্রিদিব রুইদাস বললেন, দলের সাংসদ ও বিধায়করা সাধারণ মানুষের পাশে না দাঁড়নোর ফলে দায়িত্বহীন হয়ে পড়ছেন দলের নিচুতলার কর্মী ও নেতৃত্ব।  তাই দলের সাংসদ এবং বিধায়কের প্রতি ভরসা হারিয়ে তৃণমূলের প্রতি আস্থা নিয়েই তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা।


পুরসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে শহরে নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজ আগেই শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। যোগদানের ফলে দলের শক্তি আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে ফের পুরবোর্ড গঠনের দায়িত্ব নেবে তৃণমূল আশাবাদী দলের স্থানীয় নেতৃত্ব।


বাঁকুড়া তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, আজ আমাদের দল শক্তিশালী হচ্ছে। বিজেপি ছেড়ে সেই কারণে তৃণমূলে যোগদান করছে। বিজেপি মানুষকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা তারা রাখতে পারেনি।  মমতা বন্দ্যোপাদ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতেই বিজেপি নেতা-কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দান করলেন।


যদিও এই দল বদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি।  দলের রাঢ়বঙ্গ জোনের আহ্বায়ক পার্থসারথি কুণ্ডু জানান, বিজেপি ছেড়ে কেউ তৃণমূলে যায়নি। এটা নাটক করছে। পুরসভা দখল করতে পারবে না। আগামী নির্বাচনেও মানুষ বিজেপিকে নির্বাচিত করবে। তিনি  বলেন, তৃণমূল নাটক করেও বাঁকুড়া পুরসভা দখল করতে পারবে না। বিধানসভা নির্বাচনে যেভাবে জেলার তিনটি পুরসভার মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করেছে, আগামী পুরসভা নির্বাচনেও করবে এবং বিজেপি পুরবোর্ড গঠন করবে। 


বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বিজেপির সুভাষ সরকার। বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিজেপির নীলাদ্রি শেখর জানা। তবে বিধানসভা ভোটের পর সারেঙ্গার বিক্রমপুর ও বাঁকুড়ার মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। 


সাংসদ রয়েছে বিজেপির,  বিধায়ক রয়েছে বিজেপির তারপরেও তাদের দেখা যাচ্ছে না সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়াতে এমন অভিযোগ তুললেন দলত্যাগীরা।