পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: এবারের বিধানসভা ভোটে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল রেশন। একদিকে বিজেপি নেতারা রেশন বিলিতে দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন।
অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, ক্ষমতায় ফিরলে তাঁরা দুয়ারে দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেবেন। ২ মে বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল সরকার।
প্রতিশ্রুতিমতো, এবার গণবণ্টন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে মাঠে নামলেন খাদ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা রানিবাঁধের বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি। তিনি বললেন, মানুষ যাতে চাল, আটা ঠিকমতো পায় সেটা দেখতে হবে।
বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের রানীবাঁধ বিধানসভা কেন্দ্রে থেকে তৃনমুলের টিকিট পেয়ে দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হয়ে একেবারেই রাজ্যের গুরুত্বপুর্ন দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন জ্যোতস্না মান্ডি। বাঁকুড়া জেলা থেকে একমাত্র মন্ত্রী তিনি।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন জঙ্গলমহলকে। নিজেও যেমন বার বার প্রশাসনিক কাজে ছুটে এসেছেন জঙ্গলমহলে, তেমনি জঙ্গলমহলের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নের ডালি তুলে ধরেছেন তিনি।
জঙ্গলমহলের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার মানুষের উন্নয়নের জন্য আদিবাসী মহিলার হাতেই খাদ্য দফতরের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আদিবাসী পরিবারের শিক্ষিত মহিলা জ্যোতস্না মান্ডি খাদ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের বিভিন্ন রেশন দোকান ঘুরে খতিয়ে দেখলেন সরকারী রেশন পরিষেবা।
শুক্রবার নিজের বিধানসভা এলাকার একাধিক গ্রামে পৌঁছে, রেশন নিয়ে গ্রাহকদের অভাব-অভিযোগ শোনেন তিনি। গ্রামবাসীদের বললেন, কোনও সমস্যা হলে জানাতে।
রেশন দোকানের স্টক মেলানো থেকে খাদ্যসামগ্রীর গুণগত মানও খতিয়ে দেখেন। মন্ত্রী বললেন, মানুষ চাল, গম ঠিকমতো পাচ্ছি কিনা দেখছি, মাল পুরনো কিনা দেখছি, দুয়ারে রেশন তাড়াতাড়ি চালু করে মানুষ যাতে খাদ্য ঠিকমতো সেটা দেখা দায়িত্ব।
যদিও, এই সারপ্রাইজ ভিজিটকে লোকদেখানো বলে খোঁচা দিয়েছে বিজেপি। বাঁকুড়া বিজেপি সাধারণ সম্পাদক নীলাদ্রিশেখর দানা বলেন, ১০ বছর এরা ক্ষমতায় থেকে কিছু করেনি, এখন বিরোধী আসন শক্ত হয়েছে তাই জ্যোৎস্না মান্ডির মতো মেয়েরা বেরোচ্ছে, এটা একটা গিমিক।
রেশন দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে গতবছর উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। ক্ষমতায় এসে নতুন মন্ত্রীর রেশন-পরিদর্শন ঘিরেও বাধল তৃণমূল-বিজেপি তরজা।