হাওড়া: যে সিআরপিএফের পরিচিতি শৃঙ্খলাপরায়ণতার জন্য, তাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে হাওড়ার পানশালায় তাণ্ডব চালানোর।
শুক্রবারও পানশালায় ঢুকে তার চিহ্ন চোখে পড়ল। শুধু ভাঙা চেয়ার টেবিলই নয়। আতঙ্কের ছাপ পানশালার কর্মীদের চোখেমুখে এবং কথাতেও।
বৃহস্পতিবার সিআরপিএফ জওয়ানদের যে মূর্তি তাঁরা দেখেছেন বলে অভিযোগ, তাতে ভয়ের কারণও আছে। পানশালার কর্মীদের দাবি, সন্ধেয় তিন সিআরপিএফ জওয়ান এখানে আসেন। অভিযোগ, এরপরই ওই জওয়ানরা অসভ্যতা শুরু করেন।
পানশালার ম্যানেজার ও কর্মীদের দাবি, ওই সিআরপিএফ জওয়ানদের বেরিয়ে যেতে বলতেই তাঁরা রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। এখানেই শেষ নয়। অভিযোগ, এরপর ওই তিন জন গিয়ে প্রায় ৩০-৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানকে ডেকে নিয়ে আসে। বাহিনীর পোশাকে, অস্ত্র নিয়ে তাঁরা চড়াও হয় পানশালায়। শুরু হয় ভাঙচুর। মারধর।
সিআরপিএফের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, তারা এই ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেবেন। শুক্রবার সকালে সিআরপিএফের কয়েকজন আধিকারিক পানশালায় আসেন। সব খতিয়ে দেখে তাঁরা রিপোর্ট দেবেন বলে জানিয়েছেন।
পানশালা কর্তৃপক্ষ দুই সিআরপিএফ জওয়ানকে ধরে গোলাবাড়ি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অভিযোও দায়ের করা হয়। তবে রাতেই দুই সিআরপিএফ জওয়ানকে থানা থেকে জামিন দেওয়া হয়।
আর এতেই প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা ঘিরেও। কারণ, দুই সিআরপিএফ জওয়ানকে পানশালা কর্তৃপক্ষ গোলাবাড়ি থানার পুলিশের হাতে তুলে দিলেও, রাতেই তাঁদের ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দিয়ে দেওয়া হয়। যা শুনে পানশালা কর্তৃপক্ষ বেশ হতাশ।