সমীরণ পাল, বারাসত: নকল ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড তৈরির পর্দা ফাঁস হল এবার বারাসতে। গতকাল রাতে এই ঘটনায় থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম সমরেশ দে। তাঁকে বারাসতের কাজিপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরেক জনের নাম শান্তনু মন্ডল। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বারাসাত স্টেশন রোডে একটি কম্পিউটারের প্রিন্ট আউটের দোকানের সামনে থেকে। তিনিই সেই দোকানের মালিক। 


বারাসত থানার পুলিশ এরপরই বারাসত স্টেশন রোডের ওই দোকানটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতার করার পরই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে সমরেশ দে বাংলাদেশ থেকে আসা নাগরিকদেরকে নকল ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড করিয়ে দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা নিত। এই কাজে সমরেশের সঙ্গী হলেন শান্তনু মন্ডল। তাঁর দোকান থেকেই যাবতীয় কাজ করা হত। সমরেশ তাঁর যাবতীয় কাজ শান্তনুর দোকান থেকেই করত। সেরকমই বারাসত স্টেশনের শান্তনু মন্ডল এর দোকানে এই সমস্ত কার্ড প্রিন্ট করা হত। গ্রেফতার করার পরই অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। তাদেরকে নিজেদের হেফাজতে নিতে আবেদন করেছে বারাসত আদালতে। পেশ করছে বারাসাত থানার পুলিশ পুলিশ মনে করছে এই চক্রের সঙ্গে আরও অনেকে যুক্ত আছে ইতিমধ্যে তাদের কাছ থেকে বেশকিছু নকল ভোটার কার্ড আধার কার্ড এবং স্টাম্প উদ্ধার করেছে পুলিশ।


এর আগেও পশ্চিম মেদিনীপুরেও টাকার বিনিময়ে আধার কার্ড তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ১ জনকে। ৫০০ টাকার বিনিময়ে আধার কার্ড  তৈরি করা হচ্ছিল সেখানে। টাকার বিনিময়ে শিবির করে আধার কার্ড তৈরির অভিযোগ উঠেছিল। পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে হাতেনাতে পাকড়াও ১, পলাতক ২। ল্যাপটপ, ক্যামেরা নিয়ে শিবির করে আধার কার্ড তৈরির অভিযোগ উঠেছিল। স্থানীয়দের সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবাদ করাতেই অভিযুক্তদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশ পৌঁছলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। ২ জন পালিয়ে যেতে সফল হলেও আটক করা হয় একজনকে। অনুমতি ছাড়াই কীভাবে চলছিল এই শিবির, তদন্তে পুলিশ।