মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠল দুর্গাপুরে বেসরকারি হাসপাতালে। এই ঘটনায় বেসরকারি হাসপাতালের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন মৃতের আত্মীয়রা। হাসপাতালের কর্মীদেরকে নিশানা করা হয়েছে। তাঁদের গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সবাই। হাসপাতাল কর্মীদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মৃতের আত্মীয়রা।
এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাড়াতাড়ি পৌঁছোয় পুলিশ। তাঁরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু মৃতের আত্মীয়রা এতেও ক্ষান্ত হননি। তাঁরা এর বিচার চান। হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা কেন পেলেন না রোগী তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের দিকে আঙুল তুলেছেন আত্মীয়রা। এমনকী মৃতদের নিয়ে যেতেও অস্বীকার করেন উত্তেজিত রুগীর আত্মীয়রা।
উল্লেখ্য, গত ২৬ তারিখ দুর্গাপুরের আমরাইয়ের বাসিন্দা শেখ রমজান আলী পিত্তথলির অস্ত্রপ্রচারের জন্য বিধাননগরে বেসরকারি এক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু অস্ত্রপ্রচারের পরপরই বছর ৪৫এর শেখ রমজান আলীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। গত বুধবার রাতে ফের শেখ রমজান আলীর অস্ত্রপ্রচার হয়, কিন্তু অত্যধিক রক্তক্ষরণনে রমজানের মৃত্যু হয় বলে সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার সকালে রুগীর মৃত্যু হয়েছে এই খবর হাসপাতালের তরফে রুগীর আত্মীয়দের জানানোর পরই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে মৃতের আত্মীয় পরিবার পরিজন ও পড়শিরা তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে দুর্গাপুরের ঐ বেসরকারি হাসপাতালের সামনে। বিক্ষোভ শুরু হয় হাসপাতাল কর্মী ও কর্তৃপক্ষকে ঘিরে ধরে।
মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করে পরিবারের লোকজন। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ। কিন্তু পুলিশকে ঘিরে ধরেও ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে মৃতের আত্মীয় পরিবার পরিজনরা। তাঁদের অভিযোগ, স্রেফ চিকিৎসায় গাফিলতির জন্য মৃত্যু হল তাদের প্রিয়জনের। দুর্গাপুরের বিধাননগরের বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিভাগীয় তদন্ত হচ্ছে এই ঘটনার। বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসায় গাফিলতিতে রুগী মৃত্যুর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুরে, যে পরিস্থিতি সামলাতে বেশ বেগ পেতে হয় পুলিশকে।