সুদীপ চক্রবর্তী,  উত্তর দিনাজপুর: বিধানসভা ভোটের পর উত্তর দিনাজপুরে বিজেপিতে ভাঙন থামছে না। গেরুয়া শিবিরের হাতে থাকা চাকুলিয়ার একমাত্র পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল। ভয় দেখিয়ে দলবদলের অভিযোগ করেছে বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসক দল।বিজেপি বাদ দিয়ে সব বিরোধী দলের সদস্যদের দলবদলে, বদলে গেল পঞ্চায়েতের রং। 


২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে কানকির ২০টি আসনের মধ্যে ৭টিতে জেতে বিজেপি, ফরওয়ার্ড ব্লক ৪, সিপিএম ৩, তৃণমূল ৩, কংগ্রেস ২ এবং নির্দলের দখলে যায় ১টি আসন।বাম-কংগ্রেস ও নির্দলের সমর্থনে বোর্ড গড়ে বিজেপি।বৃহস্পতিবার বিজেপির ৭ সদস্য বাদ দিয়ে, বিরোধী দলগুলির ১০ সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন।


চাকুলিয়ার একমাত্র পঞ্চায়েত হাতছাড়া হওয়ায়, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ করেছে বিজেপি।  উত্তর দিনাজপুর বিজেপির সহ সভাপতি সুরজিৎ সেন বলেছেন, গোটা রাজ্যেই ভয় দেখিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে বোর্ডের দখল দখল নিচ্ছে তৃণমূল , আগামী ভোটে আমরাই বোর্ড দখল করব।একটা পঞ্চায়েত দখল করে আমাদের শেষ করা যাবে না।


অন্যদিকে, উত্তর দিনাজপুর তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেছেন, ওদের এখানে দলটাই থাকবে না, আমাদের দলে ফরওয়ার্ড ব্লক, সিপিএম, নির্দল, কংগ্রেসের সদস্যরা এসেছেন, বিজেপিকে ভয় দেখানোর প্রশ্ন ওঠে না, মনগড়া কথাবার্তা বলছে বিজেপি।


বোর্ড সংখ্যালঘু হতে পারে বুঝতে পেরে দিন কয়েক আগে ইস্তফা দেন বিজেপির প্রধান। এদিন তৃণমূলের এক সদস্যকে প্রধান নির্বাচিত করা হয়।


এদিকে, কোচবিহারে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দিনহাটায় এক পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে পার্টি অফিসে হামলার অভিযোগ। যদিও তা মানতে নারাজ প্রধান। অন্যদিকে, মাথাভাঙায় তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। আর এনিয়ে অস্বস্তিতে জেলা নেতৃত্ব।কোচবিহারের দিনহাটার নাজিরহাটে লন্ডভন্ড অবস্থা পার্টি অফিসের।প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।নাজিরহাট ১ নম্বর অঞ্চল সভাপতির অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর স্বামী অনুগামীদের নিয়ে এসে হামলা চালান। কিন্তু এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান। উপনির্বাচনের আগে দিনহাটায় ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় অস্বস্তিতে জেলা নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল আহমেদ বলেছেন,নজিরহাটে কী হয়েছে জানি না, খোঁজ নিয়ে দেখব, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে।


অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে মাথাভাঙার পঞ্চাননমোড়ে, আক্রান্ত হন কুর্শামারি পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য জুলজুলাল মিঞা।মারধরের পাশাপাশি তাঁর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বেশিরভাগই তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত।যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, হামলার নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি।অভিযোগ উড়িয়ে জেলা বিজেপির আহ্বায়কের পাল্টা দাবি,তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই হামলা হয়েছে। এতে তাদের দলের যোগ নেই।