উত্তর ২৪ পরগনা: সংশোধনাগারে গিয়েও সংশোধন হল না! প্রতিবাদী বরুণ বিশ্বাসকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা সেদিনের সেই নাবালক অপরাধী, এবার ধরা পড়ল গৃহবধূ খুনের অভিযোগে! তাও সেই গৃহবধূ যাঁকে নাকি সে ‘মা’ বলে ডাকত!
গত এপ্রিলে, উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার ঘোজের মাঠ এলাকায় খুন হন কল্যাণী বৈরাগী। গুলিবিদ্ধ হন তাঁর স্বামী ভবেন বৈরাগী। পুলিশের দাবি, এই খুনের তদন্তে নেমে তারা জানতে পারে, ঘটনায় হাত রয়েছে সুটিয়ার বরুণ বিশ্বাস খুনে সাজাপ্রাপ্ত সুমন্ত দেবনাথের! কিন্তু, খোঁজ পড়তেই মাথায় হাত! কোথায় সুমন্ত?
পুলিশ সূত্রে দাবি, খুনের পর প্রথমে নদিয়ার মদনপুরে নিজের বাড়িতে গা ঢাকা দিলেও, পরে সেকেন্দ্রাবাদে পালিয়ে যায় সে। সেখান থেকে আশ্রয় নেয় মুম্বইয়ে প্রেমিকার বোনের বাড়িতে।
যদিও, কোনওভাবে তার এই নয়া অবস্থানের আঁচ পেয়ে যায় পুলিশ! ট্র্যাক করতে শুরু করে ওই মহিলার মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন! পরিস্থিতি বুঝে কলকাতায় পালিয়ে আসার পরিকল্পনা করে সুমন্ত।
গোপন সূত্রে যে খবর চলে যায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের কাছে। এরপরই বৃহস্পতিবার রাতে হাওড়া স্টেশন থেকে সুমন্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় সুমন্তর প্রেমিকার মা পুষ্প ও বাবা সাধন সরকারকেও। এভাবেই ফের একবার পুলিশের জালে জড়িয়ে যায় বরুণ বিশ্বাসের খুনির নাম। এবারও এক খুনের মামলাতেই!
ইতিমধ্যেই সুমন্তর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুন, ৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টা, ৩২৬ ধারায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত এবং ৩৪ নম্বর ধারায় একই উদ্দেশ্যে অপরাধের মামলা রুজু হয়েছে।
এর সঙ্গে এদিন আদালতের পুলিশের তরফে, ৩০৩ ধারায় সাজাপ্রাপ্ত আসামীর ফের খুন এবং ১২০বি ধারায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগও যুক্ত করার আবেদন জানানো হয়।
এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। শনিবার সুমন্তর টিআই প্যারেড।