ভোটে ভরাডুবি হলেও, জোট এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে সিলমোহর দিয়েছে কংগ্রেস ও সিপিএম নেতৃত্ব। ঠিক হয়েছে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই ভোট পরবর্তী হিংসার মোকাবিলা করবে দু’দল। সেইমতো বৃহস্পতিবার একসঙ্গে বসিরহাট গেলেন আব্দুল মান্নান, সুজন চক্রবর্তীরা। সেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে বিরোধী দলনেতা মান্নান বলেন, এটা ভাবা যায় না, ভোটের পর হিংসা হবে! এত মানুষ ত্রাণ শিবিরে। এরা আতঙ্কিত। পুলিশ-প্রশসন নির্বিকার। কতদিন এরকম চলবে? ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হতে হবে বলে দাবি করেছে সিপিএম নেতৃত্ব।
সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, আরও ৪ রাজ্যে তো ভোট হয়েছে। যারা এখানে আছে, তারা তো গ্রামের নিরীহ মানুষ। প্রশাসন হস্তক্ষেপ করুক। গ্রামে শান্তি ফিরুক, কতদিন এখানে থাকবে।
যদিও তৃণমূলের দাবি, এলাকার পরিস্থিতি এখন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে। হিংসা বিধ্বস্ত এলাকায় যাওয়ার জন্য বিরোধী নেতাদের সমালোচনা করেছে তারা। তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ওরা ওখানে গিয়ে ঠিক করেনি। পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। আমরাও গিয়েছিলাম। কিন্তু ভিতরে ঢুকিনি। ত্রাণ শিবির পরিদর্শনের পর হিংসা বিধ্বস্ত পানিগোবরা গ্রামে যাওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করেন বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু ওই গ্রামে ১৪৪ ধারা থাকায় অনুমতি দেয়নি পুলিশ।