কোচবিহার: ফেসবুক প্রোফাইলে অফিসে বসে বিয়ারে চুমুকের ছবি দেওয়ার অভিযোগে বিতর্কে জড়ালেন কোচবিহারের তুফানগঞ্জ ১-এর বিডিও রাজু লামা। শুক্রবার ঘটনাটি জানাজানি হতেই প্রশাসনিক মহলে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথনের নির্দেশে

তুফানগঞ্জের মহকুমা শাসক ঘটনার তদন্ত করছেন।

প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে বিডিওর ফেসবুকে একটি ছবি দেওয়া হয়। ছবিতে দেখা গিয়েছে, টেবিলের উপরে সাজানো রয়েছে ৫টি বিয়ারের বোতল। রয়েছে একটি বিয়ার ভরা কাচের গ্লাস। রাজুবাবু নিজেও একটি বোতলে চুমুক দিচ্ছেন। ছবিতে অনেকে ‘লাইক’ ও ‘ কমেন্ট’ও করেন। ছবিটিতে দেখে বিডিও নিজের চেম্বারেই বিয়ার খাচ্ছেন বলে মনে করেন অনেক আধিকারিক ও ওই অফিসের কর্মী। তারপরেই প্রশাসনের অন্দরে খোঁজখবর শুরু হয়। অফিসে বসে মদ খাওয়ার ছবি কী করে বিডিও আপলোড করলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। নড়েচড়ে বসে প্রশাসনও। সরকারি সূত্রের খবর, রাজুবাবুকে শো-কজও করা হতে পারে।

রাজুবাবু অবশ্য ঘটনাটিকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেছেন। রাজুবাবুর কথায়, “ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ওই সাজানো ছবি তৈরি করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা হয়েছে।’’ তাঁর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘পুলিশে অভিযোগ করার কথা ভাবছি।” বিডিওর কথায়, ঘটনাটি তিনি অনেক পরে জেনেছেন। তারপরেই ফেসবুকের ওই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন।

ওই অফিসের কয়েকজন কর্মীও জানান, রাজুবাবু ভাল মানুষ হিসাবেই পরিচিত। তিনি এত বড় ভুল করবেন, সেই সম্ভাবনা কম। তাই ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব তাঁরাও পুরোপুরি উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মীর কথায়, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই ছবি পোস্ট করা হয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “এমন ঘটনা সত্যি নয় বলেই আমার ধারণা। কেউ ষড়যন্ত্র করে থাকতে পারেন। তা ছাড়া, অনেকে বোতলে ঠান্ডা জলও রাখেন!” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তমসের আলি অবশ্য বলেন, “প্রশাসনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। না হলে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে।” বিজেপিও এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়েছেন।