কলকাতা: নির্বাচন কমিশনের নজিরবিহীন দাওয়াই। অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করার নির্দেশ দিল কমিশন।

বীরভূমে ভোটের ঠিক আগের মুহূর্তে তৃণমূল জেলা সভাপতিকে নজরবন্দি করার নির্দেশ দিয়ে কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচন প্রক্রিয়া জুড়ে অনুব্রতর যাবতীয় গতিবিধি এবং নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত কার্যকলাপ সর্বক্ষণের জন্য নজরবন্দি করতে হবে। তারিখ-সময়ের উল্লেখ করে অনুব্রত মণ্ডলের গতিবিধি ক্যামেরাবন্দি করতে হবে।

 

তাৎ‍পর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই নজরবন্দি করার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের উপর ছাড়েনি কমিশন। তাদের নির্দেশ, স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে অনুব্রতর উপর নজরদারি চালাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

 

শুক্রবার থেকেই অনুব্রতর উপর নজরদারি শুরু করতে বলা হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, এভাবে কাউকে নজরবন্দি করে ভোট করানো এ রাজ্যে আগে দেখা যায়নি। কমিশন যে এমন কড়া সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে, তার ইঙ্গিত বৃহস্পতিবারই দিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নাসিম জাইদি। সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, খুব তাড়াতাড়ি জানতে পারবেন।

 

কমিশনের নজরবন্দি করার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে অনুব্রত কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে না চাইলেও আগে কিন্তু এই সম্ভাবনাকে গুরুত্বই দিতে চাননি বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। তাচ্ছিল্যের সুরে

বলেছিলেন, আমি নির্বাচন কমিশনকে ভয় পাই না। নজরবন্দি করবে, গুড় বাতাসা খাওয়াবো।

 

ভোটের বাজারে বারবার অনুব্রতর গলায় শোনা গিয়েছে হুমকির সুর। এ নিয়ে বিরোধী থেকে বিদ্বজ্জনরা কমিশনে গিয়ে নালিশ জানিয়েছে। তারপর কমিশনের এমন নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত।

 

পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, বীরভূমে তৃণমূল নেত্রীর ‘ঘোড়া’ অনুব্রত। সেই অনুব্রতকেই যে ভাবে ভোটের দুদিন আগে নজরবন্দি রাখার নির্দেশ দিল কমিশন, সেটা তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল।