সঞ্চয়ন মিত্র,  সোমনাথ মিত্র, হুগলি :  আজ থেকে দর্শনার্থীদের জন্য খুলছে বেলুড় মঠ। করোনা-কালে টানা ১৯২ দিন দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। তবে বেলুড় মঠের দরজা খুললেও, কোভিড-পরিস্থিতিতে মানতে হবে কিছু বিধিনিষেধ। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সকাল ১১টা এবং দুপুর সাড়ে ৩টে থেকে বিকেল সোয়া ৫টা, দিনের ২টি নির্দিষ্ট সময়ে ঢোকা যাবে বেলুড় মঠে। মূল মন্দিরে বসে ধ্যান করা যাবে না। হবে না আরতি দর্শন। আপাতত বন্ধ থাকবে প্রসাদ বিতরণ। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য, আপাতত সন্ন্যাসী মহারাজদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করা যাবে না। এছাড়াও করোনা আবহে বেলুড় মঠের চারটি গেস্ট হাউসে অতিথিদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হচ্ছে না।

শিব চতুর্দশীর মাসখানেক আগে আজ থেকে খুলে যাচ্ছে তারকেশ্বর মন্দিরের গর্ভগৃহ। করোনা আবহে, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর, মাস পাঁচেক আগে মন্দির খোলে। কিন্তু গর্ভগৃহে প্রবেশের অনুমতি ছিল না পুণ্যার্থীদের। তবে গর্ভগৃহে প্রবেশের জন্য করোনা আবহে জারি হয়েছে কিছু বিধিনিষেধ। শুধুমাত্র ফুল, বেলপাতা, ও জল নিয়ে প্রবেশ করা যাবে। জ্বালানো যাবে না ধূপ ও মোমবাতি। গর্ভগৃহে একেকবারে ২০ জন করে দর্শনার্থীকে ঢোকানো হবে। করোনা সংক্রমণের জেরে মাস চারেক বন্ধ থাকার পর জুন মাসে একদিনের জন্য খুলেছিল তারকেশ্বর মন্দির।সংক্রমণ বাড়তে থাকায় পরের দিনই বন্ধ হয়ে যায় মন্দিরের দরজা।


 


জুন মাসে খুলে যায় দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের দরজা।  ভক্তদের লাইন পৌঁছে যায় স্কাইওয়াক পর্যন্ত। তবে সামাজিক দূরত্ব-বিধি মেনে, মুখে মাস্ক পরে দর্শন হচ্ছে। থার্মাল স্ক্রিনিং, জীবাণুনাশক টানেল পেরিয়ে ভক্তদের ঢুকতে হয় মূল মন্দিরে। দূরত্ব বিধি বজায় রাখা হয় যথাসম্ভব।  পুজো দিতে হচ্ছে গর্ভগৃহের বাইরে থেকে। ফুল, মালা নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করা যাচ্ছে মা। শুধুমাত্র ফল ও মিষ্টি দিয়ে পুজো দেওয়া যায়। 

(বিস্তারিত আসছে ...)