আশাবুল হোসেন, কলকাতা: ৫ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন-সহ, দ্রুত হোক ৭ কেন্দ্রের ভোট। এই দাবিতে আজ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। যদিও করোনা আবহে ভোট চাইছে না বিজেপি।
এখনও উপ-নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে কিছুই জানায়নি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এবার তাই রাজ্যের ৫টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন-সহ ৭ কেন্দ্রে ভোটের দাবিতে, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল।
শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের কাছে দ্রুত ভোট করানোর দাবি জানাবে শাসকদল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, উপ-নির্বাচনের দাবিতে কাল আমরা রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে দাবি জানাব। এই সংক্রান্ত আরও কিছু বললে দেবে।
করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকায়, ৭ বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ভোট চায় তৃণমূল। কিন্তু, বিজেপি যে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিধানসভা উপ নির্বাচন চায় না, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গেছে শুভেন্দু অধিকারীর কথায়।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যের নির্দেশিকায় বলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে না, ধর্মীয় শোভাযাত্রা, রাজনৈতিক মিটিং মিছিল করা যাবে না। তাহলে নির্বাচন কীভাবে হবে? আমি মনে করি, ১৮ ঊর্ধ্বদের অন্তত সিঙ্গল ডোজ দেওয়া না পর্যন্ত, নির্বাচন বা উপ-নির্বাচন করা উচিত নয়।
রাজ্যের যে পাঁচ কেন্দ্রে উপনির্বাচন ও দুই বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট বাকি, তার মধ্যে রয়েছে নদিয়ার শান্তিপুর ও কোচবিহারের দিনহাটা। এই দুই কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়করা পদত্যাগ করেছেন।
অন্যদিকে পদত্যাগ করেছেন দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী। উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার জয়ী প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
ফলে এই পাঁচটি কেন্দ্রেই উপনির্বাচন হওয়ার কথা। এছাড়াও নির্বাচনের আগে প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায়, ভোট বাকি রয়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে।
এরইমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫ নভেম্বরের মধ্যে যে কোনও বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিততে হবে।
এই পরিস্থিতিতে দ্রুত বিধানসভা উপ নির্বাচন চেয়ে, আগেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। কিন্তু তাদের তরফে কোনও উত্তর এখনও মেলেনি।