কলকাতা: শিশুপাচারকাণ্ডের তদন্তে বিজেপির দুই নেতা-নেত্রী কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবার আটঘাট বাঁধছে সিআইডি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে অন্তত এমনটাই দাবি।
জলপাইগুড়ির শিশুপাচারকাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে নোটিস পাঠিয়েছিল সিআইডি। কিন্তু, তিনি সিআইডি-র সামনে হাজির হননি। উল্টে নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে যান মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে। আদালত তাঁর হাজিরার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়। এই স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৬ নভেম্বর।
সিআইডি সূত্রে দাবি, এবার মধ্যপ্রদেশ হইকোর্টে গিয়ে এই স্থগিতাদেশ খারিজের আর্জি জানাবে তারা। যাতে শিশুপাচারকাণ্ডে টিম অমিত শাহের সদস্য কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়।
কৈলাসের পাশাপাশি সিআইডি-র নজরে রয়েছে বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও। জলপাইগুড়ি শিশুপাচারকাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরী। যাঁর সঙ্গে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি দেখা গিয়েছে। জলপাইগুড়িতে যে হোমের আড়ালে শিশুপাচার চক্র চালানোর অভিযোগ ওঠে, তার কর্ণধার চন্দনা চক্রবর্তীও জেরার মুখে রূপার নাম বলেন বলে চার্জশিটে দাবি করা হয়।
ইতিমধ্যে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে একবার তাঁর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিআইডি অফিসাররা। তাঁকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শীঘ্রই নোটিস পাঠানো হবে বলে সিআইডি সূত্রে দাবি। এপ্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রূপা বলেন, আমি চাই আমাকে ডাকুক। নিষ্পত্তি হোক।