কলকাতা: কয়লা পাচারকাণ্ডে সিবিআই অভিযানে বাজেয়াপ্ত কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নথি, নগদ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। সিবিআই সূত্রে খবর, এর মধ্যে কয়লা ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা।ইসিএলের সিকিওরিটি ইনচার্জ ধনঞ্জয় রায়ের বাড়ি থেকে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাকি টাকা উদ্ধার হয়েছে ইসিএলের আধিকারিকদের বাড়ি থেকে। এনিয়ে আদালতে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে চলেছে সিবিআই। রিপোর্ট তৈরির জন্য গঠিত হয়েছে ৪ সদস্যের দল। তৈরি করা হচ্ছে অভিযুক্তদের সম্পত্তির তালিকা। খবর সিবিআই সূত্রে।
বেআইনি কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত লালার খোঁজ চালাচ্ছে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বাংলা ছাড়াও প্রতিবেশী রাজ্য বিহার ও ঝাড়খন্ডে ছড়িয়ে রয়েছে লালার কারবার। খতিয়ে দেখা হচ্ছে লালার প্রভাবশালী যোগ।
সিবিআই সূত্রে দাবি,ভিন রাজ্যের কয়লা মাফিয়াদের সঙ্গে যোগ রয়েছে অনুপ মাঝি ওরফে লালার।
এরইসঙ্গে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের আরও দাবি, ইসিএল আধিকারিকদের জেরা করে জানা গেছে,৬ বড় কয়লা ব্যবসায়ীকে নিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করে বেআইনিভাবে কয়লা পাচারের কারবার চালাতেন লালা।
গত শনিববার লালার শেক্সপিয়র সরণির অফিস-সহ ৪ রাজ্যের ৪৫ জায়গায় ম্যারাথন অভিযান চালায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি,লালার অফিস থেকে একটি খাতা পাওয়া গেছে।
তাতে কয়েকজন ব্যবসায়ী ও কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং সরকারি আধিকারিকদের নাম রয়েছে।
সিবিআই সূত্রে দাবি, ওই ব্যক্তিদের সঙ্গে লালার কী যোগ ছিল, কোনও আর্থিক লেনদেন ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সে জন্য একটি দলও তৈরি করা হয়েছে। এখনও খোঁজ মেলেনি লালার। আসানসোল ও ঝাড়খন্ডের কয়লা খাদান এলাকায় তাঁর খোঁজ চলছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।