কলকাতা:  রাজ্যে এল কেন্দ্রের পাঠানো ১ লক্ষ কোভ্যাকসিন। আজ দুপুরের পর এসে পৌঁছবে আরও ৪ লক্ষ কোভিশিল্ড। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যে এই পাঁচ লক্ষ ডোজ পাঠানো হচ্ছে। 


এর পাশাপাশি, রাজ্য সরকারও কোভ্যাকসিন এবং কোভিশিল্ড এই দু’ রকম ভ্যাকসিনের বরাত দিয়েছে। তবে তা এখনও রাজ্যে এসে পৌঁছয়নি। 


সারা দেশে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে করোনার সংক্রমণ।  আক্রান্তের সংখ্যা লাগামহীন। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও তিন হাজারের গণ্ডি পেরোচ্ছে।


এই অবস্থায় ভ্যাকসিনেশনই রোগমুক্তির অন্যতম হাতিয়ার। কিন্তু সেই ভ্যাকসিন পেতেই রীতিমতো কালঘাম ছুটছে অসংখ্য মানুষের।


রাজ্যে ভ্যাকসিনের আকাল অব্যাহত। সরকারি হাসপাতালে প্রথম ডোজ পাওয়া যাচ্ছে না।  বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে ভ্যাকসিনেশন বন্ধ।  


সঙ্কটের ছবি ধরা পড়ল খাস কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। রীতিমতো নোটিস দিয়ে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত শুধুমাত্র দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।  


অন্যদিকে, ভ্যাকসিনের সঙ্কটে সমস্যায় পড়েছেন সল্টলেকের বহু বাসিন্দাও। মঙ্গলবার বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে বন্ধ ছিল টিকাকরণ। 


কবে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, সেই খোঁজ নেওয়ার জন্য নোটিসে এই তিনটি ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে।   অভিযোগ, এই নম্বরে ফোন করলে, কেউ ফোন ধরছে না। শুধু তাই নয়, হেল্প ডেস্কেও এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে স্পষ্ট কোনও উত্তর নেই।


এত গেল শহরের কথা। দুর্ভোগের একই ছবি জেলাতেও। কাটোয়া পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অমিল ভ্যাকসিন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের গেটে টাঙনো নোটিসে লেখা রয়েছে, আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে ভ্যাকসিনেশন।  কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে কেবলমাত্র দ্বিতীয় ডোজই দেওয়া হচ্ছে!! তাতেও, লম্বা লাইন। 


একই ছবি উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার  বিশ্বনাথপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল ভ্যাকসিনেশন।


এই পরিস্থিতিতে, বুধবার ভ্যাকসিন রাজ্যে আসায় কিছুটা আশার আলো দেখছে রাজ্যবাসী। বাগবাজার ভ্যাকসিন স্টোরে কোভিশিল্ডের ১ লক্ষ ৭০ হাজার ডোজ আছে।  বুধবার সেগুলি বিভিন্ন জায়গায় বণ্টন করা হবে।


এর আগে, গত ২৮ এপ্রিল রাজ্যে এসেছিল ১০ লক্ষ করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ।  তারমধ্যে রাজ্যের জন্য বরাদ্দ ছল ৪ লক্ষ। গত ২৩ এপ্রিল রাজে আজ আরও ৫ লক্ষ ভ্যাকসিনের ডোজ এসেছিল।