কলকাতা: রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ভোট পরবর্তী হিংসা গণতন্ত্রের লজ্জা বলেও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। এ ধরনের ঘটনাকে উপেক্ষা করা বা উৎসাহ দেওয়া কাম্য নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।


এদিন নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, ভোটের পর থেকে ধারাবাহিক, হৃদয় বিদারক যে সমস্ত হিংসার রিপোর্ট আসছে তাতে উদ্বিগ্ন বোধ করছি। এ ধরনের হিংসার ঘটনা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জার। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেভাবে ভেঙে পড়েছে, তাতে এ ধরনের ঘটনাকে উপেক্ষা করা বা উত্সাহ দেওয়া কাম্য নয়। ট্যুইটারে লেখেন জগদীপ ধনকড়। এই ট্যুইটে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা পুলিশ, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে ট্যাগ করেছেন তিনি।



ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যখন সরব রাজ্যপাল, সেই সময় তিন তৃণমূল কর্মীকে ধারাল অস্ত্রের কোপ থেকে বিজেপি মহিলা কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ সামনে এল। খেজুরির বারাতলায় বিজেপির মহিলা কর্মীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গণধর্ষণের পর বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টারও অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি বিজেপির মহিলা কর্মী। প্রতিবাদে আজ সকালে খেজুরি-হেড়িয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন বিজেপির মহিলা মোর্চার কর্মীরা। অবরোধ তুলতে আসায় পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসা, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির মহিলা কর্মীরা। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।


অন্যদিকে কাটোয়ার করোজ গ্রামে তিন তৃণমূল কর্মীকে ধারাল অস্ত্রের কোপ। হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের অভিযোগ, গতকাল রাতে বাড়ি ফেরার সময় তাদের তিন কর্মীর উপর হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ধারাল অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম হন দুই তৃণমূল কর্মী। তাঁদের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির দাবি, ওই এলাকায় তাদের কোনও সংগঠনই নেই।


এদিকে গতকালই রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ফোনে বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ফোনে খোঁজ নিয়েছেন। সেইসঙ্গে তিনি উদ্বেগপ্রকাশও করেন। অকারণ রাজনৈতিক হিংসা, গুণ্ডামি, লুঠপাট, খুনের ঘটনা বন্ধ হোক।  এটা গণতন্ত্রের লজ্জা।