পশ্চিম মেদিনীপুর: জলবন্দি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে উদ্ধার কাজে নামল বায়ুসেনার কপ্টার। নবান্ন থেকে খবর পৌঁছতেই, ব্যারাকপুর থেকে ঘাটাল উড়ে যায় বায়ুসেনার এমআই ১৭-ভি ৫ কপ্টার। শুরু হয় উদ্ধার কাজ। যদিও এদিন খালি হাতেই ফিরতে হয় কপ্টারকে।
বৃষ্টি কমলেও শিলাবতীর নদীর জলে এখনও প্লাবিত পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল। নদীর দুই পাড়ে ঘাটাল পুরসভার সবকটি ওয়ার্ডই জলের তলায়! সব চেয়ে শোচনীয় অবস্থা ঘাটালের হরিসিংহ পুর ও প্রতাপপুর গ্রামের!
প্রতাপপুরে শিলাবতীর বাঁধ ভেঙে ভেসে গিয়েছে চারপাশ। কার্যত বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে ঘাটাল। বাকিরা নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে পারলেও তীব্র স্রোতের মধ্যে গ্রামে আটকে পড়েন বেশ কয়েক জন বাসিন্দা।
কোথাও বুক সমান জল, কোথাও আবার মাথার ওপর দিয়ে বইছে শিলাবতী। যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা বা কলাগাছের ভেলা! পুলিশ সূত্রে দাবি, হরিসিংহ পুর ও প্রতাপপুরে পৌঁছতেই পারেনি ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স। এই পরিস্থিতিতে উদ্ধারের জন্য কলকাতা পুলিশের সাহায্য চায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।
খবর পৌঁছতে দেরি হয়নি নবান্নে। দুর্গতদের উদ্ধারে নবান্ন থেকে যোগাযোগ করা হয় বায়ুসেনার সঙ্গে। ব্যারাকপুর থেকে ঘাটালে পাঠানোর হয় বায়ুসেনার এমআই ১৭-ভি ৫ কপ্টার। শুরু হয় উদ্ধার কাজ। আকাশ পথের মতো জল পথেও শুরু হয় উদ্ধার কাজ। কিন্তু, বাসিন্দারা ভিটে ছাড়তে রাজি না হওয়ায় ঘাটালে দুর্গতদের আজ উদ্ধার করা গেল না।
প্রসঙ্গত, ঘাটালের দুটি গ্রামে আটকে ৬৫ জন। দুর্গতদের উদ্ধারে নবান্নের অনুরোধে যায় বায়ুসেনার কপ্টার। কিন্তু বাসিন্দারা বাড়ি ছাড়তে রাজি হয়নি। অভয় দিতে কপ্টারের পাইলট বোঝানোর চেষ্টা করেন। পুলিশকর্মী ও স্থানীয় ব্যক্তিকে নিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন। বাসিন্দারা রাজি না হাওয়ায় ফিরে আসে কপ্টার।
এদিকে, বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার ঘাটাল লাগোয়া নিমতলা ও দাসপুর এলাকা পরিদর্শন করেন সেচমন্ত্রী। কথা বলেন দুর্গতদের সঙ্গে। এই পরিস্থিতির জন্য, ৭৮ সালের বন্যার তুলনা টেনে ডিভিসি-র ওপরই দায় চাপিয়েছেন সেচমন্ত্রী। বলেন, ৭৮ সালে যে বন্যা তৈরি হয়েছিল, এবার তার থেকেও বেশি জল ছেড়েছে ডিভিসি। কোনওভাবেই ত্রাণ সমস্যা হচ্ছে না।