কলকাতা: লাগাতার জল ছাড়ছে ডিভিসি। বর্ধমানের পাশাপাশি হাওড়া ও হুগলিতেও দেখা দিতে পারে প্লাবনের আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে জল ছাড়া নিয়ে ফের দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের সঙ্গে সংঘাতের পথে গেল নবান্ন!
সোমবার সেচমন্ত্রীকে ফোন করে বিদেশ সফররত মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, রাজ্যকে না জানিয়ে ডিভিসি যেন জল না ছাড়ে। এই মর্মে ডিভিসিকে চিঠি দেওয়া হোক। সেইমতো চিঠি দেওয়া হয় ডিভিসিকে।
কিন্তু তারপরেও জল ছাড়ায়, মঙ্গলবার ফের ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে কড়া ভাষায় চিঠি দিল রাজ্য সরকার।
সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এর আগেও মৌখিকভাবে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু ডিভিসি শোনেনি। তাই কড়া ভাষায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জার্মানি থেকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিদিন নজর রাখছেন।
যদি বৃষ্টি না থামে, এবং ঝাড়খণ্ডের বৃষ্টির জেরে মাইথন, পাঞ্চেত জলাধার থেকে আরও জল ছাড়া হয়, তাহলে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে সূত্রের খবর।
ক’দিন আগেই ডিভিসি-র ছাড়া জলে, রাজ্যের একাধিক জেলা প্লাবিত হয়েছিল। নষ্ট হয়েছিল হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল। গৃহহীন হন বহু মানুষ। একে ‘ম্যান মেড বন্যা’ বলে ডিভিসি-র বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী!
গতমাসে মমতা বলেছিলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলা করা যায়। কিন্তু আমি বলব, এটা ম্যান মেড বন্যা। আমাদের সঙ্গে কথা না বলেই জল কমিশন ও ডিভিসি যখন তখন জল ছাড়ছে। এটা ছাড়ব না। ওদের বলেছি, এরপর না বলে জল ছাড়লে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। আমাদের ছাড়া ওদের চলবে না, পরে ওদের সঙ্গে সহযোগিতা করব কিনা, তা নিয়ে ভাবব।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য ও ডিভিসির সংঘাতে নয়া মাত্রা যোগ করল এবারের দুর্যোগ। যদিও রাজ্যের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিভিসি-র এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সেচমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্লাবনের আশঙ্কায় দক্ষিণবঙ্গে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। জেলায় জেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।