পূর্ব মেদিনীপুর: ফের আক্রান্ত প্রতিবাদী। বোনের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই কষছেন পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের যুবক।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান শেষে বন্ধুদের সঙ্গে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিল একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরী। অভিযোগ, বাড়ি থেকে ২ কিলোমিটার আগে, নিমতলা বাসস্ট্যান্ডে তাদের পথ আটকিয়ে কুপ্রস্তাব দেয় চার-পাঁচ জন স্থানীয় যুবক।
তারপর, হাত ধরে, সাইকেল ধরে তারা টানাটানি শুরু করে দেয় বলে অভিযোগ। কোনও রকমে ওই যুবকদের হাত থেকে নিজেদের ছাড়িয়ে বাড়ি পৌঁছয় কিশোরী। দাদাকে কাঁদতে কাঁদতে বলে, প্রায়ই ওই ছেলেগুলি উত্যক্ত করে। আর স্কুলে যাব না। বোনের এই কথা শুনে দাদা ছোটে নিমতলা বাসস্ট্যান্ডে। সেখানে তখনও দাঁড়িয়ে অভিযুক্তরা।
কিশোরীর দাদা সেখানে পৌঁছতেই শুরু হয়ে যায় বচসা। একদিকে কিশোরীর দাদা, একা। আরেকদিকে চার-পাঁচজন যুবক। অভিযোগ রড দিয়ে মারতে মারতে, তারা কিশোরীর দাদাকে নিজেদের পাড়ায় নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে ফের ব্যাপক মারধর। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে প্রতিবাদী দাদা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রতিবাদী যুবককে ভর্তি করা হয় তমলুকের নার্সিংহোমে।
শ্লীলতাহানি এবং মারধরের অভিযোগ উঠেছে পিংকা দেবনাথের বিরুদ্ধে। যার মা স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান। ওই উপপ্রধানের স্বামী, স্থানীয় তৃণমূল নেতা, চূড়ামণি দেবনাথের বিরুদ্ধেও কিশোরীর দাদাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য সাফ জানিয়ে দিয়েছে, অভিযুক্ত যেই হোক না কেন, পুলিশ যেন আইন মেনে কড়া ব্যবস্থা নেয়। মহিষাদল ব্লক সভাপতি তিলক চক্রবর্তীর সাফাই, এই ঘটনা দল অনুমোদন করে না। যারা দোষী হবে তারা অবশ্যই শাস্তি পাবে। দল হস্তক্ষেপ করবে না। পুলিশ আইন মেনে ব্যবস্থা নিক।
যদিও অভিযোগকারী কিশোরীর মা মঙ্গলবার মহিষাদল থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।