সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, ভদ্রেশ্বর: দীর্ঘ কর্মহীনতা, তারওপর প্রতিবেশীদের হেনস্থা। সব মিলিয়ে জাঁকিয়ে বসেছিল অবসাদ। আর তাতেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত। লঞ্চ থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে ভদ্রেশ্বরে। জানা গিয়েছে, ভদ্রেশ্বরের স্টেশন বাজার খুরিগাছি এলাকার বাসিন্দা ঈশ্বর রাউত (৩৫)। চাকরি না থাকায় কোনও রোজগারও ছিল না তাঁর। বাবা রুপম রাম রাউত রেলেকর্মীর। সংসার চালাতেন তিনিই। অভিযোগ, তাতেই প্রতিবেশীদের খোরাকে পরিণত হয় ঈশ্বর।
অভিযোগ প্রায়শই প্রতিবেশীদের কটূক্তির শিকার হত সে। পাড়ার লোকের এই আচরণ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যাওয়ায় ভদ্রেশ্বর থানার দ্বারস্থও হয়েছিল তাঁর পরিবার। পুলিশ এসে পাড়ার লোকদের বুঝিয়েও যায়। তবে তাতেও কোনও লাভ হয়নি। পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছিল রোজই। এর পরই চরমে পৌঁছে যায় পরিস্থিতি।
পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার সকালে ভাগ্নের সঙ্গে চন্দননগর রানিঘাটে আসে ঈশ্বর। তারপর তাঁর ভাগ্নের হাতে কিছু টাকা দিয়ে তাকে জল আনতে পাঠায় যুবক। এর পর রানিঘাট থেকে জগদ্দল ঘাটে যাওয়ার লঞ্চের টিকিট কাটেন। ভাগ্না সঙ্গে যেতে চাইলে, তাঁকে বুঝিয়ে ওই ঘাটেই বসিয়ে রেখে লঞ্চে তেপে চলে যান ঈশ্বর। লঞ্চ মাঝ গঙ্গায় পৌঁছলেই ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চের মাঝিরা বয়া ফেললেও সেই বয়া তিনি ধরেননি। এমনটাই জানিয়েছেন লঞ্চের মাঝিরা। এরপর বহু খোঁজাখুঁজির পরেও দেহ মেলেনি। আজ বিকালে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের খবর দেওয়া হলে তাঁরা স্পিড বোট নিয়ে দেহ খোঁজার চেষ্টা করে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী দেহ মেলেনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চন্দননগর থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, রবিবার জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বারোপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জোড়া রহস্যমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই আত্মহত্যা করেছেন তরুণ-তরুণী।
সাতসকালে চা বাগানের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পথ আটকেছিল এক দৃশ্য। একই শাড়ির ফাঁসে গাছে ঝুলছে পর পর দুটি দেহ। আঁতকে উঠেছিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। জোড়া রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বারোপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। মৃত তরুণের নাম নির্মল রায়। মৃত্যু হয়েছে জয়শ্রী রায় নামে এক তরুণীর।