অভিজিৎ চৌধুরী, চাঁচল(মালদা)  : থানার তিনশো মিটারর মধ্যে চুরি। শনিবার গভীর রাতে মালদার চাঁচলের থানাপাড়া এলাকায় গৃহস্থের বাড়িতে এমনই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ‍্যে।  


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, থানাপাড়ার বাসিন্দা নকুল চন্দ্র দাস। তাঁর বাড়িতে ভাড়া রয়েছে রাজস্থানের একটি পরিবার। নয় মাস আগে চাঁচলে ব্যবসায়িক সূত্রে থানাপাড়ায় ভাড়া বাড়িতে থাকতে আসেন ওই মহিলা স্নেহালতা আগরওয়াল।


গতকাল রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন স্নেহালতা। রাতেই বাড়ির পাঁচিল টপকে শোওয়ার ঘরের জানালার নেট কেটে ব্যাগে রাখা সোনার গয়না ও নগদ প্রায় হাজার দশেক টাকা ও এটিএম কার্ড সহ যাবতীয় জরুরি নথিপত্র নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। এমনই অভিযোগ উঠেছে।


এর পর রবিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে জানালার নেট কাটা অবস্থায় দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয় ওই মহিলার। ঘরে ঢুকে তিনি দেখেন, নগদ টাকা পয়সা ও সোনার গয়না এবং জরুরি কাগজপত্র সমস্ত কিছুই চুরি হয়ে গেছে। 


পুরো ঘটনাটি বাড়ির মালিককে জানানোর পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সহযোগিতা নিয়ে চাঁচল থানায় যান তিনি। পুলিশের কাছে সমস্ত কিছু জানিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে চাঁচল থানার পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। উল্লেখ্য, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে থানাপাড়ায় ফের চুরির ঘটনা ঘটে যাওয়ায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ‍্যে। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।


এদিকে সই ও সিলমোহর জাল করে শংসাপত্র বিক্রির অভিযোগে গতকালই মালদার চাঁচলে গ্রেফতার হয়েছে এক দলিল লেখক। সরকারি তদন্তে ধরা পড়ে এই প্রতারণা। জনপ্রতিনিধিদের সই থেকে সিলমোহর, এভাবে জাল করার পিছনে কোনও বড় চক্র কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিএলআরও আধিকারিকরা খুঁটিয়ে দেখে বুঝতে পারেন, শংসাপত্রে প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যের সই এবং সিলমোহর জাল করা হয়েছে।