কলকাতা: অবশেষে পুলিশের জালে ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনের মুখ তথা সিপিআই (এমএল) রেডস্টার নেতা অলীক চক্রবর্তী।
ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড তৈরির বিরুদ্ধে আন্দোলনে মদত দেওয়ার অভিযোগে, ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু হয় তাঁর বিরুদ্ধে। এরপর থেকেই খোঁজ চলছিল অলীক চক্রবর্তীর। বৃহস্পতিবার ওড়িশার ভূবনেশ্বরের কলিঙ্গ হাসপাতালের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বারুইপুর জেলা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, চিকিৎসার জন্য মাসখানেক আগে হায়দরাবাদে হাসপাতালে যান অলীক চক্রবর্তী। চেক আপের জন্য তিনি ভূবনেশ্বরে যাবেন, সেই খবর ছিল তদন্তকারীদের কাছে। সেই মতোই ফাঁদ পাতা হয়।
গ্রেফতারি এড়াতে রেডস্টার নেতা নিজের দাঁড়িও কেটে ফেলতে পারেন বলে জানতে পেরেছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু ভোল বদলেও লাভ হল না। হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময়ই গ্রেফতার করা হয় অলীককে। তাঁকে ভূবনেশ্বরের চন্দ্রশেখরপুর থানায় রাখা হয়েছে।




২০১৩ সালে ২৭২ জন কৃষকের কাছ থেকে ৪০ বিঘা জমি নেয় পাওয়া গ্রিড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া। ২০১৪ সালে নতুনহাটের জমিতে শুরু হয় পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের, বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ। ২০১৬-র নভেম্বরে গ্রামবাসীরা এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি পোতা নিয়ে কাশীপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। পাঁচ মহিলা সহ দশজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরপরই গ্রামবাসীদের পাশে দাঁড়ান অলীক চক্রবর্তী। তৈরি হয় জমি জীবিকা বাস্ততন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি। ২০১৭-র ১৭ জানুয়ারি জমি আন্দোলনের জেরে গুলি চলে ভাঙড়ে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আলমগির মোল্লা ও মফিজুল ইসলামের।
ওই মাসেই গ্রেফতার হন সিপিআই(এমএল) রেডস্টার নেত্রী ও অলীক চক্রবর্তীর স্ত্রী শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী। তবে অলীক চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে ভাঙড়ের আন্দোলনকে দমানো যাবে বলে দাবি জমি জীবিকা বাস্ততন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির।