দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়কাণ্ডে সবপক্ষকে নিয়ে একসঙ্গে চলার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, ভাঙড়ে বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মসূতিও নিয়েছে রাজ্য সরকার।
গতকাল বিদ্যুৎ প্রকল্প ঘিরে ফের উত্তপ্ত হয় ভাঙড়। পড়ে বোমা, চলে গুলি। এই প্রেক্ষিতে এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে জরুরি বৈঠক বসে। সেখানে তলব করা হয় শোভন চট্টোপাধ্যায়, রেজ্জাক মোল্লা, আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদদের। ভাঙড় কেন ফের অশান্ত, তাই নিয়ে আলোচনা হয়। রাজনৈতিকভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, বৈঠকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে সবপক্ষকে একসঙ্গে চলার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, আলোচনার পর রিপোর্ট দেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।
পাশাপাশি, সূত্রের খবর, যাঁদের জমির উপর বিদ্যুতের খুঁটি বসানো হয়েছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ভাবনাচিন্তা করছে সরকার। এছাড়াও, ভাঙড়ে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে রাজ্য। গীতাঞ্জলি আবাসন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য।



এদিকে, বিদ্যুৎ প্রকল্প ঘিরে অশান্তির ঘটনায় এখনও থমথমে ভাঙড়। সকালে অনন্তপুর মোড় এলাকায় উদ্ধার তাজা বোমা। গতকাল রাতভর ওই এলাকায় চলে পুলিশি টহলদারি। বিভিন্ন এলাকায় বসেছে পুলিশ পিকেট। গতকাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের সামনে থেকে বাইক মিছিল বের করে ভাঙড়ের জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি। অভিযোগ, অনন্তপুর মোড়ের কাছে পৌঁছলে মিছিল লক্ষ্য করে গুলি এবং বোমা ছোড়া হয়। বেশ কয়েকটি গাড়ি ও বাইকে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আন্দোলনকারীদের দাবি, এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, এলাকাকে অশান্ত করতে চেয়েছিল সশস্ত্র আন্দোলনকারীরা। ঘটনায় তৃণমূলের ৩ জন এবং আন্দোলনকারীদের ২ জন আহত হন। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিন, ভাঙড়ে আজ ফের মিছিল করে আন্দোলনকারীরা। পাওয়ার গ্রিড সংলগ্ন গ্রামবাসীদের নিয়ে মিছিল হয়। আগামীকাল, মিছিল করবে তৃণমূল।