সমীরণ পাল, ভাটপাড়া: আরও এক যুব তৃণমূল নেতার ওপর হামলার অভিযোগ উঠল ভাটপাড়ায়। গতকাল ওয়ার্ড অফিসে ভ্যাকসিনেশনের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন যুব তৃণমূল নেতা দেবযান বিশ্বাস। অভিযোগ, রাস্তায় দলবল নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালায় স্থানীয় দুষ্কৃতীরা। মারধরে আহত যুব তৃণমূল নেতাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ভাটপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কী কারণে হামলা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ সকালে ঘোষপাড়া রোড অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। এর আগে সোমবার ভাটপাড়ায় যুব তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।


গত ২৬ জুলাই ভাটপাড়ায় দুষ্কৃতী নিশানায় চলে আসেন এক যুব তৃণমূল নেতা। গুলি আঙুল ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। বরাত জোরে প্রাণে বাঁচেন তিনি। হামলার দায়ভার নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। ভাটপাড়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল সভাপতি চন্দন দাস। অভিযোগ, এ দিন রাতে রায় বাহাদুর রোডে বাড়ির কাছে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। সেই সময় অন্ধকার থেকে এসে এক দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।


তবে বরাত জোরে বেঁচে যান চন্দন। আক্রান্ত যুব তৃণমূল নেতার অভিযোগ, হামলার আগে হুমকি চিঠি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ভাটপাড়ার তৃণমূল নেতার চন্দন দাসের দাবি, এই ঘটনাটা প্রথম না। ২০২০ সালে তাঁর বাইকের ওপর হামলা হয়। বাইক থেকে ফেলে পিস্তলের বাঁট দিয়ে মারা হয় তাঁকে। পায়ে চোট লাগে। এই ঘটনার আগেও একটা চিঠি ফেলা হয় তাঁর বেডরুমে। চিঠিতে হুমকি দেওয়া হয়, 'তুমি টাউনে আসতে চলেছ বা যুব সভাপতি নেতা হতে চলেছ, তোমাকে দেখে নেব।' হিন্দি ভাষায় চিঠি দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল।


এরপরই হামলার দায় নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। ভাটপাড়ার বিজেপি নেতা উমাশঙ্কর সিংহ বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। ভটাপাড়ার তৃণমূল চেয়ারম্যান ধরম পাল গুপ্ত বলেন, এটা আমাদের কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। বিজেপিই এসব করছে। পুর নির্বাচন আসছে। বিজেপির কাউকে তৃণমূলে নেওয়া হবে না।