মুর্শিদাবাদ: এবার অধীর চৌধুরীর খাসতালুক দখল করে নিল তৃণমূল। ১৯৮৬ সাল থেকে দখলে থাকা বহরমপুর পুরসভা হাতছাড়া হল কংগ্রেসের।
পুরসভার চেয়ারম্যান নীলরতন আঢ্য-সহ বহরমপুর পুরসভার সতেরো জন কংগ্রেস কাউন্সিলর রবিবার শাসক দলে নাম লেখান। এদিন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগে চারটি পুরসভা দখল করেছি। এবার বহরমপুর পুরসভাও চলে এল তৃণমূলে দখলে।
কলকাতায় ষোলো জনের পাশাপাশি বহরমপুরে একজন কংগ্রেস কাউন্সিলর এ দিন জার্সি বদলে যোগ দেন শাসক দলে।
বহরমপুর পুরসভায় মোট আসন ২৮। এর মধ্যে কংগ্রেসেরই ছিল ২৬। তৃণমূলের দুই। তৃণমূলের এই দুই কাউন্সিলরের মধ্যে একজন মারা গিয়েছেন।
এ দিন, কংগ্রেস থেকে সতেরো জন কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তাদের সংখ্যা ম্যাজিক ফিগার ১৫ ছাড়িয়ে হয়ে গেল ১৮। কংগ্রেসের ৯।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, বহরমপুর পুরসভা কংগ্রেসের হাতছাড়া হওয়া অধীর চৌধুররী কাছে বড় ধাক্কা। কারণ, বহরমপুর হল তাঁর খাসতালুক। এটাই তাঁর লোকসভা কেন্দ্র। বহরমপুর পুরসভার মুখ্য উপদেষ্টার পদেও রয়েছে অধীরের নাম। সেটাও দখল করে নিল তৃণমূল।
মুর্শিদাবাদে মোট সাতটি পুরসভা। এর মধ্যে বহরমপুর-সহ পাঁচটিই বিরোধীদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিল তৃণমূল। বাকি দুটিও খুব তাড়াতাড়ি দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক। কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে বলেন, নিজের ঘরই সামলাতে পারেন না। অধীর চৌধুরীর পদত্যাগ করা উচিত। আর যে বাকি দুটো পুরসভা আছে তারাও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
এ দিন উত্তর ২৪ পরগনার বাম পরিচালিত দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতিও দখল করে তৃণমূল। সেখানে মোট আসন ৩৯। এর মধ্যে ১০ জন সিপিএম এবং একজন ফরওয়ার্ড ব্লকের সদস্য এ দিন শাসক দলে যোগ দেওয়ায় ম্যাজিক ফিগার ২০তে পৌঁছে গিয়েছে তৃণমূল।