কিছু দূর আসার পর একটি পুকুরের পাড়ে দাঁড়ায় তিনজন। সেখানেই বাবুলের গলার নলি ধারাল অস্ত্র দিয়ে কেটে দেয় সঞ্জু।
তারপর অস্ত্রটি ফেলে দেয় পুকুরে।
এদিন পুকুর থেকে ধারাল অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, ঘটনাস্থল থেকেই মৃতের স্ত্রী অঞ্জুকে ফোন করে সঞ্জু জানায় বাবুলকে খতম করে দিয়েছে সে।
এরপর বন্ধু সুভাষের সঙ্গে তারাপীঠে গা ঢাকা দেয় সঞ্জু।
তদন্তে নেমে বারাসতের মনুয়াকাণ্ডের সঙ্গে এই ঘটনার হুবহু মিল খুঁজে পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের দাবি জেরায় সঞ্জু জানিয়েছে, বাবুলের সঙ্গে আর ঘর করতে পারছে না বলে তাকে বারবার বলতে থাকে অঞ্জু। স্বামীকে ছেড়ে তাঁর সঙ্গে পালিয়ে যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল বাবুলের স্ত্রী।
ঠিক যেমনটা দেখা গিয়েছিল মনুয়াকাণ্ডে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সেখানেও স্বামী অনুপমকে সরাতে প্রেমিক অজিতকে একই কথা বলেছিল মনুয়া।
পুলিশের দাবি, বাবুল খুনে সঞ্জুর হাত রয়েছে, একথা নিশ্চিত হওয়ার পর মৃতের স্ত্রী অঞ্জুকে দিয়েই তাঁকে ফোন করানো হয়।
প্রেমিকার ফোন পেয়ে নৈহাটিতে ফিরলে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে আরও কিছু তথ্য বের করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।