বিলে বলা হয়েছে, কিছু সমাজবিরোধী নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। তাদের বিক্ষোভের পন্থা, সম্পত্তি পোড়ানো, লুঠ বা নষ্ট করার ঘটনাবলির জেরে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল মেনটেনেন্স অব পাবলিক অর্ডার অ্যাক্ট, ১৯৭২’- এ সংশোধনী আনার প্রয়োজন হয়েছে। যাতে ওই সব ঘটনায় অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া যায়।
বিরোধীদের দাবি, ভাঙড়, আউশগ্রাম, রসপুঞ্জ প্রভৃতি এলাকার সাম্প্রতিক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এই বিল আসছে। সুতরাং, ‘সমাজবিরোধী’ কথাটার মধ্য দিয়ে সেই সব জায়গার আন্দোলনকারীদের অপমান করা হচ্ছে।
বিলে আরও বলা হয়েছে, সরকারি বা বেসরকারি সম্পত্তিতে আগুন লাগানো, লুঠপাট বা ভাঙচুরের ঘটনায় দোষীদের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ক্ষতিপূরণও দিতে হবে।
এলাকাবাসীরা আন্দোলনের নামে হাঙ্গামা, সম্পত্তি নষ্ট করার মতো ঘটনায় যুক্ত থাকলে, মদত বা দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দিলে তাঁদের সকলকেই ক্ষতিপূরণের দায় নিতে হবে।
কংগ্রেস এবং বামেদের দাবি, বিরোধীরা যাতে আন্দোলন করতে না পারে, তার জন্যই এই কালা আইন তৈরি করতে চাইছে মমতার সরকার।
এর পাল্টা হিসেবে পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, বিরোধী দলগুলি বিল বিরোধিতা করে আসলে ভাঙচুরকেই প্রশ্রয় দিতে চাইছে। সাধারণ মানুষের স্বার্থেই এই বিল।
‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল মেন্টেন্যান্স অফ পাবলিক অর্ডার অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০১৭’ শেষমেশ বিরোধী শূন্য অবস্থায় এ দিন বিধানসভায় পাস হয়।